হাতে ধরে শেখানোরও কেউ ছিল না। কিন্তু ছোটবেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে কুমোরদের ঠাকুর বানাতে দেখেই কৌতূহল জন্মায় সুমিতের। একদিন নিজেই বানিয়ে ফেলেন একটি ছোট দুর্গামূর্তি। কিন্তু প্রতিমার সাজ দিতে গিয়ে বাধে বিপত্তি। তখনই শুরু শোলার সাজ তৈরি শেখার চেষ্টা একেবারে নিজে নিজেই। এই চেষ্টাই পরবর্তীতে পরিণত হয় শিল্পে। শোলার সাজ তৈরি এখন সুমিতের নখদর্পণে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ পণ্য পরিবহণে নতুন দিশা! রানাঘাট-কৃষ্ণনগর পর্যন্ত তৃতীয় লাইন, সবুজ সঙ্কেত!
সুমিত এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, “আমি এই অর্ডার অনলাইন মাধ্যমেই পেয়েছি। প্রথমে বেশ খানিকটা অবাক হয়েছিলাম। কাটোয়া থেকে আমার সাজ আবার বিদেশ যাচ্ছে এটাতে আমার খুবই ভাল লাগছে। আর সাজটা আমি খুব যত্ন সহকারে বানিয়েছি, সাজ দেখে যেন তাঁরাও খুশি হয়।”
আরও পড়ুন: রাতেই দুর্যোগ শুরু! বজ্রবিদ্যুৎ-ঝড়-বৃষ্টি রাতেই কাঁপাবে কলকাতা, সোমে কোন কোন জেলায় অশনি?
২০২২ সালে তাঁর হাতের তৈরি সাজ প্রথমবার পাড়ি দেয় মরিশাসে। তবে এবার যাচ্ছে সুইডেন। শোলার সাজটি আকারে ছোট হলেও, সেটি তৈরি করতে সময় লেগেছে প্রায় দুই মাস। প্রতিটি খুঁটিনাটি তিনি তৈরি করেছেন নিখুঁতভাবে, যেন বিদেশের মাটিতেও মাতৃমূর্তির আভা অটুট থাকে। নিজের শহর কাটোয়া থেকেই আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে যাওয়া এই যুবক আজ প্রমাণ করে দিয়েছেন স্বপ্ন দেখলে, চেষ্টা করলে, আর মন থেকে করলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। সুইডেন এবার অপেক্ষা করছে কাটোয়ার মাটির গন্ধ মাখা এক নিখুঁত শোলার সাজের জন্য! আর সেখানেই উজ্জ্বল কাটোয়ার সুমিত সাহার নাম।