এদিন রাতে হঠাৎই কালবৈশাখীর ঝড় হয় সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধান গাছের শিস ভেঙে পড়ে। তিল, পাট গাছের ক্ষতি হয় বিঘার পর বিঘা জমির। পোলবা দাতপুরে মোট চাষের জমির পরিমাণ ১৭৪৬০ হেক্টর জমি। সেই জমিতে প্রায় ১৫ হাজার টন ধান উৎপাদন করেন কৃষকরা প্রতিবছর। ব্লকে পাট এবং আলুও চাষ হয়। পাট ৩০৭ হেক্টর জমি থেকে ৪৭১৯ টন। এই বছরও হয়েছিল বোরো ধানের চাষ তবে কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টিতে একেবারে মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের।
advertisement
আরও পড়ুন: মন্দির উদ্বোধনের ঠিক আগে কী ঘটছে দিঘায়? পর্যটকদের জন্য রয়েছে কী কী চমক? জানুন
বীরেন্দ্রনগরের চাষি গোবিন্দ কোলে জানান, ১৯ বিঘা ধান চাষ করেছিলেন, নয় বিঘা জমিতে তিল চাষ করেছিলেন। এছাড়াও ঝিঙে, শসা, বেগুন চাষ করেছিলেন। শিলাবৃষ্টিতে সব নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। কি করে এই ক্ষতিপূরণ হবে বুঝতে পারছেন না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জগন্নাথ দেশি নামে আরেক চাষি বলেন, “শিল পড়ে জমিতে ধান বলে আর কিছু নেই।গতকাল রাতে প্রচুর পরিমাণে শিল পড়ে। যে কারণে চাষের ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি কীভাবে পূরণ হবে জানি না।” ব্লক কৃষি আধিকারিক এবং ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা চাষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করছেন। যাদের ফসল বীমা করানো আছে তারা বীমার টাকা পাবেন। কিন্তু যে ফসলের বিমা নেই তাদের কীভাবে ক্ষতিপূরণ হবে সেটাও ভাবা হচ্ছে।
রাহী হালদার