তাঁরা নদী থেকে মাছ ও কাঁকড়া ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। বেশ কয়েকটি পরিবার আবার চাষবাসের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এই পরিবারগুলিতে টিভি ও রেডিও নেই। সব পরিবারে আবার বড় মোবাইলও নেই। তাই সব সময় তাঁরা আবহাওয়ার খবর জানতে পারেন না। অনেক সময় তাঁরা নদীতে মাছ ও কাঁকড়া ধরতে গিয়ে ঝড় ও বৃষ্টির কবলে পড়েন। এছাড়াও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া হলে তাঁদের চাষবাসের ক্ষতি হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : কোটি কোটি টাকা লুঠ, অভিজাত হোটেলে গোপন আস্তানা! আচমকা ঢুকে পড়ল পুলিশ! তারপর..
সেই কারণে গ্রামের জনা পাঁচেক যুবক-যুবতী দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে এই দুটি গ্রামের ছয়টি বাড়ির দেওয়ালে আবহাওয়ার বিভিন্ন তথ্য লিখে দিয়ে যান। আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য ওই ছয়টি দেওয়ালে চক দিয়ে লেখা হয়। এমনকি আবহাওয়া অনুযায়ী কৃষির পরামর্শও লেখা থাকে। এবিষয়ে কাশিয়াবাদের মুন্ডাপাড়ার বাসিন্দা যমুনা মুন্ডা বলেন, “ওই ছয়টি বাড়ির দেওয়াল গ্রামবাসীদের কাছে আবহাওয়া কেন্দ্র হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন : শ্বশুরকে বাবা সাজিয়ে ভোটার কার্ড পেয়েছেন বাংলাদেশি! ফাঁস হতেই তোলপাড় দেগঙ্গা
প্রতিদিন সকালে ওখানে গিয়ে আবহাওয়ার খবর পড়ে তবেই সবাই কাজে বের হন। পাঁচ দিনের তারিখ উল্লেখ করে বৃষ্টিপাত, বাতাসের গতি ও অভিমুখ, তাপমাত্রা, আদ্রতা লেখা থাকে। এমনকি তারিখ অনুযায়ী কৃষি কাজের পরামর্শ লেখা হয়।” গ্রামের আবহাওয়ার দিদিমণি পিয়ালী মুন্ডা বলেন, “গোবোদিয়া নদীর পাশে এই গ্রাম দুটি গড়ে উঠেছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন : আশ্বাসে ভরসা নেই আর! ১৫ বছরেও হয়নি নতুন রেল স্টেশন, ক্ষোভে ফুঁসছে দেবীপুর
মূলত গ্রামবাসীদের কাছে আবহাওয়ার কোনও তথ্য না থাকার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখন এই বিষয়ে এখানকার বাসিন্দারা খুবই সচেতন। তাঁরা বাড়ির দেওয়ালে লেখা তথ্য থেকে আগামী পাঁচ দিনের আবহাওয়ার সব খবর জানতে পারেন। বৃষ্টির সময় ওই লেখা মুছে গেলে, পরে গিয়ে আবারও লিখে দেওয়া হয়। আবহাওয়ার সব তথ্য ও কৃষি পরামর্শ লেখার জন্য একটি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হয়।”