যদিও অভিযুক্ত এ দিনও আদালতে দাঁড়িয়ে দাবি করে, সে নির্দোষ৷ মুস্তাকিন বিচারকের কাছে আবেদন করে জানায়, ‘আমি এটা করিনি । আমি এই বিষয়টা জানতাম না। আমি ছাড়া বাবা মায়ের কেউ নেই । বাবা অসুস্থ। আমি ছাড়া কেউ দেখার নেই। যদি পারেন আমাকে মাফ করবেন । অভাবের কারণে আমি কাজ করতাম। মুস্তাকিনের আইনজীবীও ফাঁসির বদলে অভিযুক্তের কারাদণ্ডের পক্ষে সওয়াল করেন৷’
advertisement
আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর ঘটনা কলকাতায়! তেলের ট্যাঙ্কারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত ১!
গত অক্টোবর মাসে জয়নগরে এক নাবালিকা বাবার দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়ে যায়৷ পরে একটি ক্ষেতের আল থেকে উদ্ধার হয় তার ক্ষত বিক্ষত দেহ৷ ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগে ঘটনার দিন রাতেই মুস্তাকিন সর্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ৷ দ্রুত তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়৷
এ দিন সাজা ঘোষণার আগে শুনানিতে বিশেষ সরকারি আইনজীবী অভিযুক্তের ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে বিচারককে মনে করিয়ে দেন, মুখ চেপে শ্বাসরোধ করে নৃশংস ভাবে নাবালিকাকে খুন করে মুস্তাকিন৷ মৃত্যু নিশ্চিত করতে বারে বারে মাথা ঠোকা হয়েছে শক্ত জায়গায়৷ যৌনাঙ্গ সম্পূর্ণ ক্ষতবিক্ষত করে দেওয়া হয়, ছোট্ট শরীরে ছিল ৪৮টি আঘাত৷
সরকারি আইনজীবী আরও বলেন, ‘স্যর আপনি যদি ভাববেন এই অভিযুক্তকে সুযোগ দেওয়া যায়, সংশোধনের সুযোগ দেওয়া যায়, আমি ভাবছি দেওয়া যায় না । কারণ আজও ওর কোনও অনুতাপ নেই। এটা পরিকল্পনা করে খুন। এটা হঠাৎ করে খুন নয়। সাইকেলে তুলে নির্জন জায়গায় গিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ ও পরে খুন করে জলে ফেলে দিল। কোনও অনুতাপ নেই অভিযুক্তর। বলছে প্রেম করতে নিয়ে এসেছিলাম৷ এই নাবালিকা ক্লাস নাইনে পড়ত। ক্লাসে প্রথম হতো। ভারতবর্ষের একজন প্রতিভাবান নাগরিক হতে পারত। মেয়েটি ডাক্তার হতে পারত, উকিল হতে পারত। বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। ফুলের মতও জীবনকে মেরে ফেলা হল। শেষ করে দেওয়া হল। এটা ক্লোজ ব্লাডেড মার্ডার। এখানে ফাঁসিই সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে। আপনার কলমের মাধ্যমে যে জাজমেন্ট বেরিয়ে আসছে সকলে সেই দিকে তাকিয়ে।’
দু পক্ষের সওয়াল জবাবের পর এখন বিচারক কী শাস্তি ঘোষণা করেন, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সবাই৷