বর্তমানে মন্দিরগুলির ভগ্নদশা। সরকারি অনুকূল্য সংস্কারের কাজ চলছে। জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০ ফুট উঁচু মন্দিরের চূড়ায় একটি গম্বুজের ওপর ন’টি নবরত্নচূড়া আছে। এই মন্দিরের গায়ে অপূর্ব কারুকার্য। পোড়ামাটি শিল্পকলায় নানা পৌরানিক কথা বর্নিত রয়েছে শিব-দুর্গা মন্দিরে। তাদের মধ্যে কোনওটা সমাজ নিয়ে, কোনওটা দেব-দেবী নিয়ে, আবার কোনওটা উঠে এসেছে ইতিহাসের পাতা থেকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সোনার মকুট, রুপোর হাতে সুসজ্জিত জগন্নাথ দেব, পালিত হল নবযৌবন উৎসব
মন্দিরের সামনে দেওয়ালে রয়েছে পোড়ামাটির পাঁচটি অপূর্ব বড় আকারের মূর্তি, এ গুলি মা দুর্গা তাঁর সন্তান লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক ও গনেশ। মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করে সামনের পাশ দিয়ে পেছনে গেলে সিঁড়ি পাওয়া যায় যা শীর্ষে উঠা যায় মন্দিরের।
উল্লেখ্য, শিব-দুর্গা মন্দিরের বৈশিষ্ট্য হল দুর্গা মা ও শিব ঠাকুরের পাশাপাশি বসে থাকেন। শিবকে এখানে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাই মন্দিরের নাম শিব দুর্গা মন্দির, এমনটাই দাবি রাউত পরিবারের। ঠাকুরের পুজো শুরু হয় প্রতিপদের ১০ দিন ধরে পুজো চলে। এই জোড়বাংলা মন্দিরের পাশে বিষ্ণু মন্দির এবং মঙ্গলচন্ডী মন্দির রয়েছে। সেটিও ভগ্নদশা আছে তার গায়ে তো সুন্দর নকশা করা আছে। প্রতিদিনই নিয়ম করে পূজা রাউত পরিবারের সদস্যরা।
আরও পড়ুনঃ ৯৫% নতুন মুখ! পঞ্চায়েতে প্রার্থী তালিকায় ‘নবজোয়ার’ চমক তৃণমূলের, অভিষেকের নয়া ‘কৌশল’?
পরিবারের সদস্যরা এই শিবদুর্গা মন্দির বয়স বলতে সে ভাবে পারলেন না। তাদের অনুমান প্রায় ৪০০ বছরের হবেই। পুজোর দিন থেকে শুরু হয় দুর্গাপুজো। প্রথা মেনে বলিও হয় এ মন্দিরে। টানা বেশ কিছুদিন ধরে সংস্কৃতি অনুষ্ঠান এবং যাত্রার ও আয়োজন করে। পুজো কয়েকটা দিন আনন্দের সহিত কাটায় সকল সদস্যরা। ইচ্ছে হলে হুগলির প্রাচীন এই মন্দিরে কাটিয়ে যেতে পারেন কিছুক্ষণ। পুজোর সময় ধুমধাম লোকে লোকারণ্য আর বছরের অন্য সময়ে ছিমছাম নিরিবিলি।
Suvojit Ghosh