STF-এর হাতে ধৃত ছয় জেএমবি জঙ্গি। ধৃতদের বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী ধৃতদের NIA হেফাজতের আবেদন করেন। ধৃত ৬ অভিযুক্তের সকলেই সক্রিয় জামাত সদস্য ৷ ৩ জনের বাড়ি বাংলাদেশে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ভারতে আসে ৷ প্রত্যেকের বিরুদ্ধে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে
অভিযুক্ত ইউসুফ ও কালাম খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অভিযুক্ত এদের নাম খাগড়াগড় বিস্ফোরণের চার্জশিটেও রয়েছে ৷ ঘটনার পর থেকেই তারা পলাতক ছিল
advertisement
গোপনে জঙ্গি সংগঠনের কাজ চালাচ্ছিল ধৃতরা ৷ বাকি তিন জনের বিরুদ্ধেও জিহাদি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে ৷ ধৃতদের পাঁচ জনের ১৫ দিনের NIA হেফাজতের আবেদন করা হয়।
বিচারক বলেন, ৫ অভিযুক্তের কোনও আইনজীবী নেই ৷ প্রত্যেকেই UAPA ধারায় অভিযুক্ত আইনজীবী না থাকায় অভিযুক্তদের বক্তব্য জানা প্রয়োজন বিচারক ধৃতদের কাঠগড়ায় ডেকে নেন। কাঠগড়ায় নিরুত্তাপ পাঁচ জামাত জঙ্গির হাসি মুখ কিছুটা বিস্মিতই করে ভরা আদালতকে। বিচারক উসুফের বক্তব্য জানতে চান। ইউসুফের দাবি, খাগড়াগড় বিস্ফোরণের বিচার শুরু হয়েছে। তাই নতুন করে NIA কেন তাকে হেফাজতে নেবে? কার্যত একই সুরে বিচারপতির সঙ্গে কথা বলে মঙ্গলকোটের ফুলসোনার কালামকেও। বাকি তিন অভিযুক্তের সাফাই,
আমরা কেউ বাংলাদেশের নাগরিক নই ৷ রাজমিস্ত্রির কাজের কারণেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যেতে হয় ৷ অভিযুক্তদের এই সাফাইয়ের তীব্র বিরোধিতা করেন সরকারি আইনজীবী। এরপরই বিচারক কেস ডায়েরি দেখে শিমুলিয়া মাদ্রাসার প্রসঙ্গে তুলতেই কাঠগড়ায় ভোলবদল পাঁচ অভিযুক্ত জামাত জঙ্গির। কাঠগড়াতেই সকলে মাথা নিচু করে। এরপরই বিচারক ধৃত পাঁচ জনের পনেরো দিনের NIA হেফাজতের আবেদন মঞ্জুর করেন। যদিও STF এর হাতে ধৃত আনোয়ার হুসেনকে, NIA হেফাজতে চায়নি।
বর্ধমান বিস্ফোরণের বিস্ফোরণের দুই বছর পর তদন্তের পাতা ওল্টাল NIA। অভিযুক্তদের মধ্যে এখনও বেশ কয়েকজন ফেরার। ধৃত ৫ জামাত জঙ্গিকে নিজেদের হেফজতে নেওয়ার পর তদন্তের গতি বাড়বে বলেই মত আশা NIA-র।