দিন কয়েক আগেই আসানসোল লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে বিজেপি৷ িবপুল ভোটের ব্যবধানে বিজেপি-র হাত থেকে আসানসোল লোকসভা ছিনিয়ে নিয়েছে তৃণমূল৷ তার পরই বিজেপি নেতার এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ৷
আরও পড়ুন: কোন যাদুমন্ত্রে আসানসোলে রেকর্ড জয়? বীরভূমের নেতৃত্বের 'পরিশ্রম' দেখছে তৃণমূল!
ঘটনাচক্রে এ দিনই কলকাতায় বিজেপি-র বিক্ষুব্ধ েনতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার৷ সেই বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় আসেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷ রাজ্য সরকারি প্রকল্পের প্রশংসা করে তিনি ট্যুইট করার পরই বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়ে যায়৷ অস্বস্তি বাড়ে বিজেপি শিবিরেরও৷
advertisement
বিষয়টি বুঝতে পেরেই কলকাতায় এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের বক্তব্যের নতুন করে ব্যাখ্যা দেন আসানসোলের বিজেপি নেতা৷ জিতেন্দ্রর দাবি, তিনি বলতে চেয়েছিলেন যে তৃণমূলকে ভোট না দিলে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা মিলবে না, সাধারণ মানুষকে এই ভয় দেখিয়েই নির্বাচনে অন্যায় সুূবিধা নিয়েছে শাসক দল৷ একই সঙ্গে নিজের ট্যুইটে বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী হিংসাকেও বিজেপি-র হারেরন কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি৷
আরও পড়ুন: সেই সিঙ্গুরেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ, সমবায় সমিতি দখলে রেখে দিল বামেরা
ট্যুইটারে জিতেন্দ্র তিওয়ারি লেখেন, 'আমার ব্যক্তিগত অভিমত লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রী ও স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষ দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গিয়ে সহজে পেয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে ভোটারদের উপরে।' পাশাপাশি জিতেন্দ্র লেখেন, 'ভোট পরবর্তী হিংসার জন্যও ভোটাররা বিরোধী দলগুলির পক্ষে ভোট দিতে ভয় পাচ্ছেন৷'
রাজ্য সরকারি প্রকল্পের প্রশংসায় জিতেন্দ্র তিওয়ারির ট্যুইট ঘিরে অনেকের মধ্যেই কৌতূহল তৈরি হয়৷ যদিও এক ট্যুইটার ব্যবহারকারীর মন্তব্যের জবাবে জিতেন্দ্র লেখেন, 'আমার যা লিখেছি তার খুব বেশি গভীর অর্থ খুঁজতে যাবেন না৷ আমি বিজেপি-র সঙ্গেই রয়েছি৷'