১৯৭১ সালে জিলিংসেরেং-এ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চালু হয়। কিন্তু সেই বিদ্যালয়ের বেহাল দশা হয়ে থাকার কারণে ধীরে , ধীরে পড়ুয়া সংখ্যা কমতে থাকে। পড়ুয়ারা মালতি মুর্মুর পাঠশালায় শিক্ষা গ্রহণ করতে যায়। এবার জিলিংসেরেং-এর সরকারি বিদ্যালয়কে নবরূপে সাজাতে চলেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৮ লক্ষ ২০ হাজার ৮৮৪ টাকা। তার মধ্যে তৈরি হবে ৪-টি নতুন শ্রেণিকক্ষ ও ১-টি শৌচালয়।
advertisement
এ বিষয়ে বাগমুন্ডির বিডিও আর্য তা বলেন , জিলিংসেরেং-এ যে বিদ্যালয় তা অতি পুরানো। প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ার কারণে সেখানে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নতির জন্য শিক্ষা দফতর অর্থ বরাদ্দ করেছে। খুব শীঘ্রই ওই বিদ্যালয়ের নব রূপে সেজে উঠবে। এ বিষয়ে জিলিংসেরেং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনাদি টুডু বলেন, দীর্ঘদিন এই বিদ্যালয়ে বেহাল হয়ে পড়েছিল। শিক্ষা দফতর এই বিদ্যালয়ের সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে তিনি খুবই খুশি।
এ বিষয়ে মালতী মুর্মুর স্বামী বাঁকা মুর্মু বলেন , শিক্ষা দফতরের এই পদক্ষেপে তিনি খুবই খুশি। এতে তাদের গ্রামের সার্বিক উন্নয়ন হবে। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তিনি। জিলিংসেরেং-এ মালতীর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাইরাল সর্বত্র। তাই অনেকেই মনে করছেন মালতী দেবী ভাইরাল হওয়ার ফলেই সরকারি এই বিদ্যালয়ের হাল ফিরছে।