মনে করা হয় যে বৃন্দাবনে রাধা-কৃষ্ণর প্রেমলীলাকে কেন্দ্র করে দ্বাপরযুগে এই ঝুলন উৎসবের সূচনা হয়েছিল। এক এক অঞ্চলে দোল বা দুর্গোৎসবের মতো ঝুলনের আকর্ষণ কিছু কম নয়। ঝুলনেও দেখা যায় নানা আচার অনুষ্ঠান ও সাবেক প্রথা। এই উৎসব হয় মূলত বনেদি বাড়ি এবং মঠ-মন্দিরে। রাধাকৃষ্ণের যুগল বিগ্রহ দোলনায় বসিয়ে হরেক আচার অনুষ্ঠান পালিত হয় এই সময়।
advertisement
আরও পড়ুন:
এর পাশাপাশি এই উত্সবের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক ঐহিত্য। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের সঙ্গেই ছোটদের ঝুলন সাজানোর আকর্ষণও কিছু কম নয়। নানা ধরনের মাটির পুতুল, কাঠের দোলনা আর গাছপালা দিয়ে ঝুলন সাজানো হয়ে থাকে। কোথাও কোথাও ঝুলন উপলক্ষে চলে নামসংকীর্তন। এই সময় প্রতি দিন ২৫-৩০ রকমের ফলের নৈবেদ্য, লুচি, সুজি নিবেদন করা হয় রাধা-কৃষ্ণকে।
প্রত্যেকবারের মতো এবারও ঝুলন যাত্রা উৎসব শুরু হল মন্দির নগরী শ্রীচৈতন্য ধাম নবদ্বীপে। নবদ্বীপের বলদেব বাড়ি থেকে শুরু করে, রাধা মদনমোহন মন্দির, মহাপ্রভু বাড়ি, সমাজবাড়ি, ইত্যাদি নবদ্বীপের ঐতিহ্যময় মঠ মন্দির গুলিতে পালন করা হচ্ছে ঝুলন যাত্রা উৎসব। যা দেখতে ভিড় জমেছে আপামর নবদ্বীপবাসীর।
Mainak Debnath