ঝাড়গ্রাম শহরের ঘোড়াধরা এলাকার বাসিন্দা পাঁচ বছর বয়সের শিশুকন্যা ঐশী পাত্র। বাবা উজ্জ্বল পাত্র ঝাড়গ্রামের বিশিষ্ট শিক্ষক। সোমবার ঐশীর পঞ্চম জন্মদিন ছিল। ঐশী যতবার চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়েছে ততবারেই সে ময়ূরের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে। তাকে ময়ূর খুব ভাল লাগে। সেই জায়গা থেকেই পরিবারের সদস্যরা ভাবনাচিন্তা করে তার এই জন্মদিনে ময়ূরকে দত্তক নেওয়ার জন্য। সেই মতো জঙ্গলমহলের জুওলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর এক বছরের জন্য ময়ূরটিকে দত্তক নেয়ঐশী। সোমবার দুপুরে বাবা-মা ও দাদুর হাত ধরে চিড়িয়াখানায় পৌঁছয় ঐশী। দত্তকের শংসাপত্র ঐশীর হাতে তুলে দেন ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের এডিএফও সমীর বসু।
advertisement
চিড়িয়াখানার যে কোনও জন্তু বা পাখিকে দত্তক নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। সর্বনিম্ন তিন মাস এবং সর্বোচ্চ এক বছরের জন্য দত্তক নেওয়া যায়। বিভিন্ন জন্তু এবং বিভিন্ন পাখির রক্ষণাবেক্ষণের খরচের উপর নির্ভর করেই তাদের দত্তক নেওয়ার অর্থ ঠিক করা হয়। এক বছরের জন্য একটি ময়ূরকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রায় দশ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে। ঐশীর পরিবার চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের হাতে ১০ হাজার টাকা তুলে দিয়ে এক বছরের জন্য ময়ূরটিকে দত্তক নিয়েছে। এর ফলে এক বছর ধরে যেকোনও সময় ঐশী চিড়িয়াখানায় গিয়ে ওই ময়ূরের খোঁজ খবর নিতে পারবে।
আরও পড়ুন : কীটনাশক নয়! এই তেল ২ ফোঁটা দিলেই গায়েব শ্যামাপোকার জ্বলুনির উৎপাত
বর্তমান দিনে হামেশাই আলিপুর চিড়িয়াখানায় শোনা যায় বিভিন্ন পশু-পাখিকে দত্তক নেওয়ার কথা। সেই জায়গায় ঝাড়গ্রামও কোনও অংশে পিছিয়ে নেই। ঐশী ও ঐশীর পরিবারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে আপামর ঝাড়গ্রামবাসী।