TRENDING:

History: মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসছে রাশি রাশি মুদ্রা ভর্তি কলস! রহস্যময় কাণ্ড দেখে সকলের চক্ষু চড়কগাছ

Last Updated:

History: বিনপুরের এড়গোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজপাড়ার ফাঁকা মাঠে পড়ে রয়েছে মাকড়া পাথরের তৈরি একাধিক শিলা। শিলার গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা আছে একটি প্রাচীন ভগ্ন মূর্তি। তবে, মূর্তিটি জৈন ২৩ তম তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের বলে দাবি করছেন গবেষকরা।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তন্ময় নন্দী, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গলমহলের একটি গ্রামে মাটি খুঁড়লেই বেরচ্ছে হাড়গোড়, তামার মুদ্রা, চামচভর্তি কলস। খোলা আকাশের নীচে পড়ে রয়েছে মাকড়া পাথরের তৈরি একাধিক শিলা মূর্তি। আর শিলাগুলির মাঝেই রয়েছে ভগ্ন কালো পাথরের তৈরি মূর্তি। একসময় এই এলাকায় জৈন সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস ছিল। প্রায় হাজার বছর আগে তাঁরা জায়গাটি ছেড়ে চলে যান বলে অনুমান করা হয়। বিনপুরের এড়গোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজপাড়ার ফাঁকা মাঠে পড়ে রয়েছে মাকড়া পাথরের তৈরি একাধিক শিলা। শিলার গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা আছে একটি প্রাচীন ভগ্ন মূর্তি। তবে, মূর্তিটি জৈন ২৩ তম তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের বলে দাবি করছেন গবেষকরা।
advertisement

গবেষক মধুপ দে বলেন, ‘‘এটি একটি জৈনদের একটি প্রত্নক্ষেত্রের নিদর্শন। মূলত নদী তীরবর্তী এলাকায় জৈন সম্প্রদায়ের মানুষজন বসবাস করতেন। রাজপাড়া এলাকায় যে জৈন মন্দির বা দেউল ছিল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। জৈনরা তাঁদের দেহাবশেষ মাটির কলসিতে ভরে মাটিতে পুঁতে রাখতেন। তার উপরে দু’-পাঁচ ফুটের নিবেদন বা মানত শিলা পুঁতে দেওয়া হত। স্থানীয়রা মূর্তিটিকে সত্যনারায়ণ বা বিষ্ণু দেব রূপে পুজো করেন। মূর্তিটির পুরোহিত হলেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের শবর দেহরী। মূর্তিটির বৈশিষ্ট্য, মূর্তিটির মাথার পিছনে রয়েছে পঞ্চমুখী সাপের মুখ।

advertisement

গ্রামের বাসিন্দা জ্যোতি মাহাতো বলেন, জায়গাটি ‘গ্রামথান’ নামে পরিচিত। এখানে মাকড়া পাথরের একাধিক স্তম্ভ ও একটি ভগ্ন মূর্তি পড়ে রয়েছে। এই এলাকায় মাটি খুঁড়লে কলস পাওয়া যায়। মাটির নীচে এমন ধরনের কলস থাকার কারণ আমাদের কাছেও স্পষ্ট নয়। গবেষক বিধান দেবনাথ বলেন, ঝাড়গ্রামের বিনপুর দুই নম্বর ব্লকের এড়গোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজপাড়া একটি প্রাচীন জনপদ। এই এলাকা ছেড়ে জৈনদের চলে যাওয়ার কারণ আজও অজানা। তাম্রলিপ্ত বন্দরের অবক্ষয়, পরবর্তীকালে রাজনৈতিক অস্থিরতা বা বৈষ্ণব ও শৈব আন্দোলনের প্রভাবে জৈনরা এই এলাকা ছেড়ে চলে যেতে পারেন। তবে, ভগ্ন দেউল ও কলসগুলি আজও সুদূর অতীতের সাক্ষ্য বহন করে চলেছে।

advertisement

আরও পড়ুন : সাপ কেন তার চেরা জিভ ঘন ঘন বাইরে বার করে? ‘আসল কারণ’ জানলে আতঙ্কে কাঁটা হয়ে যাবেন! হাড়হিম ভয়ে রক্ত জল!

View More

সুদুর অতীতে এই স্থানে জৈন দেউল ছিল। দেউলের পাশে ছিল শ্মশানভূমি। জৈনরা দেবতাদের উদ্দেশে নিবেদন শিলা উৎসর্গ করতেন। দেহাবশেষের সঙ্গে‌ মুদ্রা, চামচ ও অন্য সামগ্রী কলসে ভরে মাটির পাঁচ ফুট গভীরে পুঁতে দেওয়া হত। জায়গাটি গ্রামবাসীদের কাছে আজও রহস্যময়। গ্রামবাসীদের দাবি স্থানটি ইতিহাস সমৃদ্ধ, অবিলম্বে এখানে নানা রহস্য লুকিয়ে আছে। তাই স্থানটিকে অবিলম্বে যেন সরকারিভাবে সংরক্ষণ করা হয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
History: মাটি খুঁড়লেই বেরিয়ে আসছে রাশি রাশি মুদ্রা ভর্তি কলস! রহস্যময় কাণ্ড দেখে সকলের চক্ষু চড়কগাছ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল