TRENDING:

Samajik Suraksha Yojana: হাতের কাছেই লুকোচুরি খেল ছিল ৫০ হাজার টাকা! জানতেনই না অসহায় যুবক, পাইয়ে দিলেন এই সৎ মহিলা

Last Updated:

অসহায় যুবককে সরকারি প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা পাইয়ে দিলেন এক মহিলা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামের জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের তরফে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াতে বিশেষ চাাহিদা সম্পন্ন যুবক পেল সরকারি প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা। ২০১৮ সালে এক ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে ফিরেছিলেন স্নেহাংশু। কিন্তু এই দুর্ঘটনার পরে খাড়া নেমে আসে তার জীবনে। অবশ হয়ে যায় দুটি পা, আড়ষ্ট হয়ে যায় জিহ্বা, কমে যায় চোখের দৃশ্যমান্যতা। প্রায় ৯০% শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বেঁচে ফিরেছিলেন স্নেহাংশু। ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সক্রিয় হস্তক্ষেপে রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে ‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্প থেকে ৫০,০০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পেলেন ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর দুই নম্বর ব্লকের চোরচিতা গ্রামের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন যুবক স্নেহাংশু দে।
প্রতিবন্ধী যুবকের বাড়িতে অধিকার মিত্র
প্রতিবন্ধী যুবকের বাড়িতে অধিকার মিত্র
advertisement

২০১৮ সালে এক ভয়াবহ বাইক দুর্ঘটনায় ৯০% শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বেঁচে ফিরেছিলেন স্নেহাংশু। বর্তমানে বাবা-মা দুজনেরই অবর্তমানে একা বাড়িতেই থাকেন তিনি, শারীরিক অসুবিধার জন্য বাইরে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ঝাড়গ্রাম জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন উদ্যোগ দেখে স্থানীয়। ‘অধিকার মিত্র’ রীতা দাস দত্তের সঙ্গে যোগাযোগ করেন স্নেহাংশু। রীতা নিজে বাড়িতে গিয়ে স্নেহাংশুর সমস্যাগুলি শুনে তা লিখিতভাবে জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষের সচিবের কাছে জমা দেন।

advertisement

আরও পড়ুন: কৃষিকাজ না হলেও চাপ নেই! প্রাকৃতিক সম্পদকে হাতিয়ার করেই নতুন আয়ের খোঁজ ঝাড়গ্রামে

ঘটনাক্রমে রীতা লক্ষ্য করেন যে স্নেহাংশুর কাছে বিনামূল্যে ‘সামাজিক সুরক্ষা যোজনা’ প্রকল্পের পাশবুক রয়েছে, কিন্তু তিনি সেই প্রকল্পের অধীনে পাওয়া সুযোগ-সুবিধাগুলি সম্পর্কে জানতেন না। বিষয়টি জানার পর, রীতা নিজে ব্লকের শ্রম দফতরে গিয়ে ক্লেম প্রক্রিয়া সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে স্নেহাংশুর পক্ষ থেকে আবেদনপত্র জমা দেন চলতি বছরের এপ্রিল মাসে। অবশেষে বৃহস্পতিবার ব্লকের শ্রম দফতর জানায়, স্নেহাংশুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের আওতায় ৫০,০০০ টাকা ক্লেমের অর্থ জমা হয়েছে। সেই খবর স্নেহাংশুর বাড়িতে গিয়ে পৌঁছে দেন রীতা নিজে। আর খবর যেন লটারিতে টাকা পাওয়ার মতই।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

স্নেহাংশু আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, “আমি জানতাম না এই প্রকল্প থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়। রীতা আমাকে সব জানিয়ে পুরো কাজটাও করে দিয়েছেন। আমার অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা এসেছে—আমি খুব খুশি।” এই ঘটনা ফের একবার প্রমাণ করল, সঠিক দিশা ও সহানুভূতির মাধ্যমে প্রশাসনের উদ্যোগ কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে সমাজের প্রান্তিক মানুষদের জীবনে।

advertisement

তন্ময় নন্দী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Samajik Suraksha Yojana: হাতের কাছেই লুকোচুরি খেল ছিল ৫০ হাজার টাকা! জানতেনই না অসহায় যুবক, পাইয়ে দিলেন এই সৎ মহিলা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল