বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ৬৪ জন পড়ুয়া রয়েছে ঝাড়গ্রামের এই বিদ্যালয়ে। আগে তিন জন থাকলেও, শিক্ষক-শিক্ষিকা তিনজনের মধ্যে ব্যক্তিগত ও পেশাগত বিবাদের জেরে মাস খানেক আগে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান জয়দীপ হোতার নির্দেশে তিনজনকেই অন্য স্কুলে বদলি করা হয়।
আরও পড়ুন: নীলবাতির গাড়ি ছেড়ে সাইকেল…! হলটা কী জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের, সাতসকালেই চমকে গেল ঝাড়গ্রাম
advertisement
তবে দু’জন শিক্ষক নতুন স্কুলে যোগ দিলেও প্রধান শিক্ষিকা রেখা মাহাতো বদলি অমান্য করে আগের স্কুলেই থেকে যান। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে নতুন করে যাঁরা এই বিদ্যালয়ে আসার কথা ছিল, তাঁরাও আসেননি প্রধান শিক্ষিকার উপস্থিতির কারণে। ফলে একজন শিক্ষিকা একা বিদ্যালয় চালালেও পঠনপাঠনের মান একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। অভিযোগ উঠেছে, স্কুলে প্রায়শই পঠনপাঠন হয় না, ছাত্ররাই নিচু শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়ায়। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন গিধনি পূর্ব চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক মুনমুন সিং সর্দার এবং জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান জয়দীপ হোতা। চেয়ারম্যান জয়দীপ হোতা জানান, “প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে দুই সহকর্মীর দীর্ঘদিনের বিবাদের জেরে বিদ্যালয়ে অচলাবস্থা তৈরি হয়। সেই কারণেই তাঁদের তিনজনকেই বদলি করা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষিকা নির্দেশ অমান্য করেছেন। আমি তাঁকে শীঘ্রই কুড়ারিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের নির্দেশ দিয়েছি। কাদোপিন্ড্রা বিদ্যালয়ে তিনজন নতুন শিক্ষক পাঠান হবে।”
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল রান্নাও হয়নি। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষিকা রেখা মাহাতোর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি। এখন দেখার বিষয়, নতুন শিক্ষক নিয়োগ ও প্রধান শিক্ষিকার বদলির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের পঠনপাঠনে স্বাভাবিকতা ফেরে কি না।
তন্ময় নন্দী