স্থানীয় সূত্রে খবর পাওয়া যায় এক অচেনা ব্যক্তি ক’দিন ধরেই বিনপুর দু’নম্বর ব্লকের বাঁশপাহাড়ি এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। সঠিকভাবে তিনি তার ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। তখন ওই এলাকার বাসিন্দারা খবর দেন বেলপাহাড়ি থানার অন্তর্গত বাঁশপাহাড়ি ফাঁড়িতে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে ফাঁড়িতে নিয়ে যায়।
advertisement
স্থানীয় মানুষ ও পুলিশের প্রচেষ্টায় এক পরিবারে ফিরল স্বস্তির নিঃশ্বাস। ফের একবার ফুটে উঠল পুলিশের মানবিক রূপ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই ব্যক্তি কিছুটা এলোমেলো কথা বলছিলেন। তারপরই তারা অনেকক্ষণ ধরে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করে। তার ভাষা ঠিক মত বুঝতে পারেনি স্থানীয়রা। পরে ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে বেশ কিছুক্ষণ পর পুলিশ ওই ব্যক্তির নাম ও ঠিকানা জানতে পারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাঁকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে উদ্যোগী হন খোদ ঝাড়গ্রামের বাঁশপাহাড়ি থানার ওসি শুভেন্দু রানা। ওসি জানতে পারেন বছর ষাটের ওই ব্যক্তির নাম রমেশ কুমার সিং। তাঁর বাড়ি বিহার রাজ্যের বাঙ্গারা থানা এলাকায় বাড়ি। পুলিশ বাঙ্গারা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার পর ওই বৃদ্ধের দুই ভাইপো আসেন বাঁশপাহাড়ি ফাঁড়িতে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভাইপোদের হাতে কাকাকে তুলে দেয় পুলিশ।
ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির ভাইপো অমল জানিয়েছে, ‘গত দু’বছর ধরে কাকা নিখোঁজ ছিলেন। অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি, আমরা কাকার কোনও রূপ খোঁজ পাইনি। বেলপাহাড়ির থানার পুলিশের জন্য আজ কাকাকে ফিরে পেলাম।’ পুলিশের এই মানবিক রূপের জন্য ওই নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার ধন্যবাদ জানিয়েছে বেলপাহাড়ি থানা ও বাঁশপাহাড়ি ফাঁড়ির পুলিশকে। পুলিশের এই মানবিক উদ্যোগে খুশি বেল পাহাড়ির বাসিন্দারা।