ভরা মৌসুমে বাঘের আতঙ্কে বিপর্যস্ত পর্যটকরাও। ডিসেম্বরের শীতে পর্যটকদের ভিড় জমেছে বেলপাহাড়ি বিভিন্ন পর্যটন এলাকায়। যদিও ফরেস্টের পক্ষ থেকে রীতিমত প্রচার চালানো হচ্ছে জঙ্গল সংলগ্ন গ্রামগুলিতে।
advertisement
কয়েকদিন আগেই ঝাড়গ্রাম লাগোয়া ঝাড়খণ্ডের জঙ্গলে সুন্দরী বাঘিনী, ‘জিনাত’-এর আগমনে সাধারণ মানুষ-সহ পর্যটকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করেছিলো বন দফতর। এরপর আবারও বাংলায় দেখা মিলল এক নতুন বাঘিনীর, নাম “যমুনা”। উড়িষ্যার সিমলপাল রেঞ্জ থেকে এই বাঘিনী আগত হয়েছে বলে তথ্য সূত্রে জানা যায়। বাঘের হানায় ভয় স্তম্ভিত এখন অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রাম।
কয়েকদিন ধরে ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক জায়গায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারের পায়ের ছাপ মিল ছিল। সেই পায়ের ছাপ দেখে ইতিমধ্যে ট্র্যাকিং শুরু হয়েছে গোটা এলাকায়। রয়েল বেঙ্গল টাইগারের গতিবিধি নজরে আসতেই বনদফতর বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে।
সেই বাঘিনী ‘জিনাত’ ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করেছে। মহারাষ্ট্র থেকে ১৫ই নভেম্বর আনা বাঘটিকে ২৪ নভেম্বর এসটিআর-এর জঙ্গলে ছাড়া হয়। সেই বাঘটি সিমলিপাল থেকে এসে পার্শ্ববর্তী ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করেছে। “বাঘিনী জিনাত এখন সিমিলিপাল এলাকা ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে ঘোরাফেরা করছে। রবিবার সে ঝাড়খণ্ডের একটি জঙ্গলে প্রবেশ করেছে। (RCCF)- এসটিআর-এর কাম-ফিল্ড ডিরেক্টর, প্রকাশ চাঁদ গোগিনেনি বলেছেন যে বাঘটি সুস্থ আছে এবং ঝাড়খণ্ডের বর্তমানে রয়েছে বাঘটি।
জিনাতকে ১৫ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারী টাইগার রিজার্ভ থেকে সিমিলিপালে আনা হয়েছিল। জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার আগে STR-এর একটি বিশেষ দল তার ঘাড়ে রেডিও কলার লাগিয়ে দেয়, তার গতিবিধির উপর নজরদারির জন্য।
এলাকায় বাঘের খাঁচা, টোপ সমস্ত কিছুই নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে ফের ট্রাঙ্কুলাইজ কর তাকে ফেরানো হবে শিমলিপালে। ঝাড়গ্রামের বন আধিকারিকরাও গোটা বিষয়টার উপর নজর রেখেছে। অজথা আতঙ্কিত না হয়ে, সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের মাইকিং করে সাবধানে থাকার কথা বলা হয়েছে। গতবারে লালগড়ের মতো বাঘ মৃত্যুর ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।