গ্রামবাসীদের দাবি, পায়ের ছাপটি দেখে বাঘের পায়ের ছাপ মনে হচ্ছে। যদিও বন দফতর সাফ জানিয়েছেন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া বলা যাবে না এই অজানা জন্তুর পায়ের ছাপটি কার। অজানা জন্তুর পায়ের ছাপকে কেন্দ্র করেই নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ডানা বেঁধেছে বেলপাহাড়ির বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের ধরমপুর সহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামে।
আরও পড়ুন: ‘শুভেন্দু অধিকারীকে আমি চিহ্নিত করেছিলাম’, নেতাজি ইন্ডোরে বিস্ফোরক অভিষেক! দিয়ে দিলেন ‘টার্গেট’
advertisement
সোমবার সকালে ধরমপুর গ্রামের বাসিন্দা সঞ্জয় মুড়া চাষের কাজের জন্য তার আলুর খেতে যায়। গিয়ে দেখে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ। বিষয়টি জানানো হয় বন দফতরে । মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য পৌঁছায় বন দফতরের শীর্ষ অধিকর্তা এসিএফ স্বর্ণদীপ্ত রক্ষিত। বন দফতরের বিশেষ দল অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ গুলিকে স্কেল দিয়ে মাপ যোগ করার পাশাপাশি প্লাস্টার অফ প্যারিসের মাধ্যমে পায়ের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এসিএফ স্বর্ণদীপ্ত রক্ষিত বলেন, “পায়ের ছাপটি বাঘের না অজানা কোনওজন্তুর তা পরীক্ষা ছাড়া কিছুই বলা যাবে না। দেখে যা মনে হচ্ছে জন্তুটি ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে গিয়েছে। বাঘ না চিতাবাঘ বা অন্য কোনও জন্তুর তা পরীক্ষার পরেই আমরা জানাতে পারব। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখা হচ্ছে”।
বেলপাহাড়িতে নতুন করে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপকে বাঘ নয় তা বলে উড়িয়ে দিতে পারছে না বন দফতর। কারণ কয়েকদিন আগেই পুরুলিয়াতে বাঘের ছাপ দেখা গিয়েছে। উড়িষ্যার সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ থেকে বাঘিনী জিনাত ঝাড়খন্ড হয়ে ঝাড়গ্রাম জেলার কটুচুয়া, কাঁকড়াঝোড়ের পথ ধরে চলে গিয়েছিল পুরুলিয়ায়। তারপর বাঁকুড়ার রানিবাঁধে কাছে ধরা পড়ে জিনাত।জিনাতকে নিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পরেই নতুন করে বাঘের আতঙ্ক চাউল হয় বেলপাহাড়িতে।
প্রায় ১৭ দিন আগে বেলপাহাড়ির সিঙ্গাডোবায় ছাগল চরাতেগিয়ে বাঘ দেখেছিল বলে দাবি করেন এক মহিলা। তার একটি ছাগলও খেয়ে ফেলেছিল বাঘ। তার কয়েকদিন পরে সেই বাঘটি পুরুলিয়ায় চলে যায় বলেও জানা গিয়েছে। প্রাণী বিশেষজ্ঞদের অনেকের দাবি, স্ত্রী বাঘের মূত্রে থাকা ফোরামনের গন্ধের কারণে পুরুষ বাঘ স্ত্রী বাঘের ঠিকানায় পৌঁছে যায়। যেহেতু জিনাত এই এলাকায় বেশ কিছু দিন কাটিয়েছে সেই কারণে জিনাতের খোঁজে ইতস্তত ঘুরে বেড়াচ্ছে ঝাড়খণ্ডের পুরুষ বাঘটি।
বুদ্ধদেব বেরা