মূলত ঝাড়গ্রামের শতাধিক মহিলারা একত্রিত হয়ে এই লাল মাটির হাট শুরু করতে চলেছে। আগামী পয়াল ডিসেম্বর থেকে এই লাল মাটির হাট শুরু হবে চলবে ২৩ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতি সপ্তাহের রবিবার এই হাট বসবে । বুধবার রবীন্দ্র পার্ক থেকে শুরু করে এক বর্ণাঢ্য পদযাত্রা ঝাড়গ্রাম শহর পরিক্রমা করল লালমাটির হাটের সঙ্গে যুক্ত মহিলারা।
advertisement
আরও পড়ুন: চারিদিকে গুলির শব্দ, সেনার সঙ্গে সংঘর্ষ, বহু মৃত্যু! ভারতের এই প্রতিবেশী দেশে ‘দেখলেই গুলি’র নির্দেশ
লাল মাটির এই হাটে পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে জঙ্গলমহলের হস্তশিল্পকে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই হাটে শাড়ি, কুর্তি ,শীতবস্ত্র ,চাদর ,ঘর সাজানোর জিনিস, ঠাকুর ঘর সাজানোর সম্ভার, প্রসাধনি দ্রব্য ,বাসনপত্র, কেক বানানোর সামগ্রী, মেয়েদের নানা রকমের গহনা ,ব্যাগ ,পাথরের নানা পোকার থালা বাটি এছাড়াও সঙ্গেরয়েছে বিভিন্ন রকমের পিঠেপুলি ও বিরিয়ানী । লাল মাটির হাটের অন্যতম সদস্য দেবী প্রধান বাসু বলেন, “শাল জঙ্গলে ঘেরা অরণ্য সুন্দরীকে দেখার জন্য বহু পর্যটক বেড়াতে আসছেন ।
তাই পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই বোলপুরের সোনাঝুরি হাটের আদলে আমাদের এই লাল মাটির হাট। এটি আমাদের চতুর্থ বছরে পদার্পণ করছে” । জঙ্গলমহল বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে বাড়তি পাওনা হিসেবে থাকছে এই লাল মাটির হাট। বিভিন্ন পর্যটনস্থল বেড়ানোর পাশাপাশি একফাঁকে লালমাটির হাটে পৌঁছলে পর্যটকরা সংগ্রহ করতে পারবে জঙ্গলমহলের মহিলাদের হাতের তৈরি নানা কারুকার্য।
— বুদ্ধদেব বেরা