এই রাস্তাটি শুধুই একটি সাধারণ রাস্তা নয় — এর উপর নির্ভর করে চিলকিগড় স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বিডিও অফিস, ব্যাঙ্ক, স্থানীয় বাজারঘাট এবং ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ। স্কুলপড়ুয়া থেকে শুরু করে অসুস্থ রোগী, ব্যবসায়ী থেকে কৃষক — সকলের জীবনের রোজকার লড়াই জড়িয়ে আছে এই সড়কের সঙ্গে।
আরও পড়ুন: বিবাহবার্ষিকীতে শুধু বন্ধু-বান্ধব, পরিবারকে নিয়ে আনন্দ-ফুর্তি নয়! এই দম্পতি যা করলেন স্যালুট জানাবেন
advertisement
গাড়িচালকরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এই রাস্তায়। আর কত প্রাণ হারালে নড়বে প্রশাসন? কবে শুরু হবে এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পূর্ণ সংস্কার? এখন সময় এসেছে — প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার, জবাবদিহি চাওয়ার। এই রাস্তা দ্রুত মেরামত না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। জনগণের ধৈর্য এখন ফুরিয়ে আসছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় বাসিন্দা তুষার কান্তি বেরার অভিযোগ, ‘রাস্তায় চলাচল করতে করতে নিজেই অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছি, কোমরে নিতে হয়েছে বেল্ট, রাস্তায় তাপ্পি মেরে কাজ চালানো হচ্ছে, কিছুদিন গেলেই রাস্তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসছে। স্কুল কলেজ ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছাতে গেলে রাস্তা ভাল প্রয়োজন।’ চিচিড়া থেকে পড়িহাটি রাস্তায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা — জনগণের অসুবিধার চিত্র যেন দেখেও না দেখার ভান করছে স্থানীয় প্রশাসন। বছরের পর বছর চলে যাচ্ছে, আশ্বাসের বন্যা বইছে, অথচ কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। পিচ উঠে গিয়ে কংক্রিটের ছিটেফোঁটাও নেই বহু স্থানে।
স্থানীয় এক টোটো চালক শেখ সিরাজউদ্দিন বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে প্রচুর অসুবিধা হচ্ছে, গাড়িচালকরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন এই রাস্তায়। একটি ট্রাক রাস্তা দিয়ে পার হলে মনে হয় যেন কোথাও আগুন জ্বলছে। এত ধুলো কিছু দেখা যায় না। রাস্তায় যাতে দ্রুত তৈরি হয় তার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’ জামবনি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ অবনী মোহন দত্ত বলেন, ‘রাস্তা দিয়ে দীর্ঘকাল ধরে খারাপ ছিল কয়েক দিনের মধ্যেই এই রাস্তা তৈরি হবে, তার টেন্ডার হয়েছে।’
তন্ময় নন্দী