জানা গিয়েছে, গত ১৭ এপ্রিল ঝাড়গ্রাম শহরের বাছুরডোবার বাসিন্দা অরূপ রায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ৷ অবশেষে, গত শনিবার পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় তিনজন।
advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি থানার বাসিন্দা৷ এরা হল শ্যামপুর এলাকার প্রিন্স খুসওয়া,সৌরভ মিত্র এবং সালানপুর থানার বনবিধি কিশান গড়াই। কিশান গড়াইয়ের আদি বাড়ি ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া জেলার কেলাই গ্রামে। অভিযুক্ত, ধৃতদের এদিন রবিবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ এদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
কিন্তু, ঠিক কী ভাবে এই দুষ্কৃতীরা অরূপবাবুর কাছ থেকে টাকা হাতিয়েছেন, তার সম্পূর্ণ বিবরণী শুনলে আপনারা থ হয়ে যাবেন৷ অভিযোগ, প্রথমে দুষ্কৃতীদের একজন অরূপ বাবুকে ফোন করে তাঁর বকেয়া ইলেকট্রিক বিল নিয়ে কিছু প্রশ্ন করে৷ তারপর ভয় দেখায়, দ্রুত সেই বিল না দেওয়া হলে তাঁর বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হবে৷
হুমকির পরে দুষ্কৃতীরা অরূপ বাবুর ফোনের হোয়াটসঅ্যাপে একটি অ্যাপ পাঠায়৷ তারপরে সেই অ্যাপের মাধ্যমেই সহজে টাকা জমা দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা হাতিয়ে নেয় তারা৷
পুলিশ জানিয়েছে, এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানা এলাকায় অনেকগুলি প্রতারণা মামলা রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা অরূপ বাবুর কাছ থেকে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা প্রতারণা করেছে এই তিনজন। ফোন অ্যাপ পাঠিয়ে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার ফাঁদ পেতে এই প্রতারণা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে এরা মূলত বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদ পাতে। একবার টাকা অ্যাকাউন্টে চলে এলে সাথে সাথে নিজেদের লোক মারফত এটিএম থেকে টকা তুলে নেয়। এদের সাথে আরও অনেকেই রয়েছে। পুলিশ পুরো চক্রটিকে ধরার চেষ্টা করছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্তদের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলা হলে সজল কুমার মিত্র দাবি করেন, মিথ্যে মামলায় তাঁদের মক্কেলদের ফাঁসানো হয়েছে৷
রাজু সিং