ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে বর্তমানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ৭০ থেকে ৮০টি হাতি। কোথাও ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে রয়েছে হাতিগুলি। কোথাও আবার দলছুট হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের দুধকুন্ডি এলাকায় দুটো হাতির দল রয়েছে। একটিতে ৩০ থেকে ৩৫ টি হাতি, আরেকটিতে ২০টি থেকে ২৫ টি হাতি। সারাদিন হাতিগুলি জঙ্গলে থাকছে আর রাত হলে খাবারের সন্ধানে নেমে পড়ছে পাকা ধানের জমিতে। ফলে পাকা ধান খেয়ে সাবাড় করে দিচ্ছে হাতির দল। তাই ক্ষতির মুখ থেকে বাঁচার জন্য যতটা ধান পেকেছে সেই ধানকেই বাড়িতে তুলতে শুরু করেছে চাষিরা।
advertisement
আরও পড়ুন: স্বপ্নের গ্রাম, একবার ঢুঁ না মারলে বড় মিস, ঝাড়গ্রাম বেড়াতে গেলে যাবেন নিশ্চিয়ই
সাঁকরাইল ব্লকের দুধকুন্ডি এলাকার ধান চাষি ফুলকুমার মাহাতো, প্রতাপ মাহাতোরা বলেন, “বহু কষ্ট করে ধান চাষ করেছি। অনেক জায়গায় ধান পেকেছে কোথাও আবার পাকা শুরু করেছে। কিন্তু খাবারের সন্ধানে প্রায়ই দল হাতি ধান জমিতে হানা দিচ্ছে। বড় বড় হাতির দল জমিতে নেমে পড়লে এক রাতেই সমস্ত জমি ফাঁকা হয়ে যাবে। তাই আমরা হাতির হাত থেকে ফসলকে রক্ষা করার জন্য কাঁচা অবস্থায় কেটে করে বাড়িতে তুলে নিচ্ছি”।
আরও পড়ুন: ঝাড়গ্রামের এই প্রত্যন্ত গ্রামে উপচে পড়ছে পর্যটকের ভিড়, কারণ জানলে অবাক হবেন
জঙ্গলমহলে হাতির উপদ্রবের কারণে জঙ্গল লাগোয়া বহু ধান জমিতে চাষিরা চাষ করা বন্ধ করে দিয়েছে। তার কারণ একটাই ফসলটুকু বাড়িতে তুলতে পারেন না কোন চাষি। তাই যেটুকু ফসল হয়েছে হাতির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বাড়িতে তুলতে মরিয়া জঙ্গলমহলের চাষিরা।
বুদ্ধদেব বেরা