TRENDING:

ভেঙেছে বাঁশের সাঁকো, নিয়ে যাওয়া গেল না হাসপাতাল! বাড়িতেই মর্মান্তিক পরিণতি অসুস্থ রোগীর

Last Updated:

Jhargram News: জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার কী হাল, তা এই ঘটনায় কার্যত পরিষ্কার

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঝাড়গ্রাম, রাজু সিংঃ টানা বৃষ্টিতে ভেঙেছে বাঁশের সাঁকো। হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পেরে বাড়িতেই মৃত্যু বেলপাহাড়ির সন্দাপড়ার সুনীল শবরের। এমনটাই অভিযোগ করেছে পরিবার।
টানা বৃষ্টিতে বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে
টানা বৃষ্টিতে বাঁশের সাঁকো ভেঙে গিয়েছে
advertisement

নিম্নচাপের জেরে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে টানা বৃষ্টি শুরু হয়েছে। ফুলে ফেঁপে উঠেছে জেলার একাধিক নদী ও খাল। বহু অস্থায়ী সেতু ভেঙে পড়ায় চরম সমস্যায় পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। টানা বৃষ্টির জেরে বেলপাহাড়ি ব্লকের সন্দাপাড়া পঞ্চায়েতের ডড়রা গ্ৰামে থাকা খালের উপর গ্রামবাসীদের তৈরি অস্থায়ী সেতুটি ভেঙে যায়। ফলে চরম সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষজন থেকে শুরু করে যানবাহন চালকরা।

advertisement

আরও পড়ুনঃ সরকারি হোমে চাঞ্চল্যকর ঘটনা! ভোররাতে ৩ আবাসিক…! প্রশ্নের মুখে শিশুদের নিরাপত্তা

খাল পেরিয়ে গ্রামে যাতায়াত। সেখানে সেতু নেই। টানা বৃষ্টিতে জলের তোড়ে স্থানীয় উদ্যোগে তৈরি সাঁকোও ভেঙে গিয়েছে। বেলপাহাড়ির অসুস্থ সুনীল শবরকে (৪০) তাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সুযোগই মিলল না। এমনটাই অভিযোগ পরিবারের সদস্যদের। শনিবার রাতে বাড়িতেই মৃত্যু হয় সুনীলের। জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার কী হাল, তা এই ঘটনায় কার্যত পরিষ্কার।

advertisement

জানা গিয়েছে, সন্দাপাড়া পঞ্চায়েতের ডড়রা গ্রামে প্রায় ৪০টি শবর পরিবারের বাস। গ্রামের ওই খালে বছরের অন্য সময় তেমন জল থাকে না, হেঁটে পারাপার করা যায়। কিন্তু বর্ষায় তা সম্ভব হয় না। সেই জন্য গ্রামবাসীরাই একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করেছিলেন। কিন্তু শনিবার সকালে জলের তোড়ে ভেঙেছে সেই বাঁশের সাঁকো। যাতায়াত করতে হয় খাল পেরিয়ে।

advertisement

তা ভেসে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে সুনীলের পরিবার।

আরও পড়ুনঃ বাড়িতে আটকে শিশু-বয়স্ক, প্রাণভয়ে রয়েছে মানুষ! দাঁইহাটে মারাত্মক অবস্থা, ক্ষোভে ফুঁসছেন সবাই

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

প্রশাসন সূত্রের খবর, জ্বর ও রক্তাল্পতায় ভোগা সুনীলের আগে সরকারি হাসপাতাল ও ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা হয়েছিল। সুস্থ হয়ে বাড়িও ফেরেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর দিদি মুখো শবর রবিবার বলেন, ‘সাঁকো ভেঙে গিয়েছে। এত জল পেরিয়ে কী করে ভাইকে হাসপাতাল নিয়ে যাব? তাই বাড়িতেই মৃত্যু হল। সেতু থাকলে এভাবে মরতে হত না!’

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ভেঙেছে বাঁশের সাঁকো, নিয়ে যাওয়া গেল না হাসপাতাল! বাড়িতেই মর্মান্তিক পরিণতি অসুস্থ রোগীর
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল