বাঘ ধরতে বসানো হয়েছে ট্র্যাপ ক্যামেরা, এআই ক্যামেরা। কড়া নজরদারি চালাচ্ছে বন দফতর। রবিবার সকালে বেলপাহাড়ি থানার অন্তর্গত বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের মনিয়ার্ডি ও চিটামাটি গ্রামের মধ্যবর্তী জঙ্গলের রাস্তায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়। এছাড়াও জঙ্গলে কুরকুট সংগ্রহ করতে যাওয়া গ্রামবাসীরাও দাবি করেন, তারা বাঘ দেখেছেন। এলাকার বাসিন্দা ধীরেন মুর্মু বলেন, “আমরা বেশ কয়েকজন জঙ্গলের মধ্যে কুরকুট সংগ্রহ করতে গিয়েছিলাম। তখন আমি দেখেছি জঙ্গলের মধ্যে একটি বড় জন্তু। আমার দেখে মনে হয়েছে এটা বাঘ! গায়ের রংটা হালকা লাল রয়েছে। দেখার পরে জঙ্গল থেকে আমরা ছুটে পালিয়ে যায়”।
advertisement
আরও পড়ুন: দেশ ছেড়ে পালানোর আগে কাকে ফোন করেন হাসিনা? প্রকাশ্যে কল রেকর্ড! শুনে চমকে যাবেন কিন্তু
বিষয়টি সামনে আসতেই গুরুত্ব সহকারে দেখতে শুরু করে বন দফতর। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দফতরের কর্মীরা এবং ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ডিএফও ওমর ইমাম। সারাদিন বাঘের পায়ের ছাপ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ডিএফও ওমর ইমাম বলেন ,” পায়ের ছাপ দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি পুরুষ বাঘ ঢুকে পড়েছে। বাঘটি কোথা থেকে এসেছে, সেই ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত আমরা কিছুই বলতে পারব না। বাঘের গতিবিধির উপর সব সময় নজর রাখা হবে। রাস্তা পারাপারের সময় আমরা বিশেষ করে নজর রাখছি, কারণ জিনাতের মতো এর গলায় রেডিও কলার নেই”।
বন দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, চারদিকে যে সীমানা রাস্তা রয়েছে তা চেকিং করা হচ্ছে। বাঘ কোনও রাস্তা ক্রশ করছে কিনা, তা জানতে ৫টি ট্র্যাপ ক্যামেরা এবং তিনটে এআই ক্যামেরা বসানো হয়েছে এলাকায়। বন দফতর পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েছে। গ্রামবাসীদের মাইকিং করে সতর্ক করা হয়েছে। গ্রামবাসীরা যাতে কোনও ভাবে আতঙ্ক না হয় তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে, বন দফতরের কর্মী ও পুলিশ। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বেলপাহাড়ির এসডিপিও শ্রেয়া সরকার।
পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘ বেলপাহাড়ি এলাকায় ঢুকে পড়ায় চিন্তিত ঝাড়গ্রাম বন বিভাগ। কারণ জিনাতের গলায় রেডিও কলার থাকায় জিনাতের গতিবিধির উপর নজর রাখা সহজ ছিল। কিন্তু এই বাঘের কোনও রেডিও কলার নেই। ফলে বাঘের পায়ের ছাপ বা কড়া নজরদারির উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে বন দফতরকে।
—- বুদ্ধদেব বেরা