দেওয়ালের রঙিন ছোঁয়ায় লুকিয়ে রয়েছে সামাজিক বার্তার মর্মস্পর্শী স্পন্দন। সীমানা প্রাচীরের গায়ে গায়ে আঁকা রয়েছে একের পর এক সচেতনতার চিত্র। কেবল বার্তাই নয়, লোকসংস্কৃতির ছোঁয়া নিয়ে আঁকা হয়েছে গ্রামীণ জীবনের রঙিন দৃশ্য। জঙ্গলমহলের অধিবাসীদের জীবন যাত্রা, সংস্কৃতির সরল সৌন্দর্যের পাশাপাশি সামাজিক বার্তা বহন করছে ছবিগুলি।
আরও পড়ুন : তিন পুরুষের লড়াই… অবশেষে জমি কিনে রাস্তা! কিন্তু শেষমেষ বাধা এক মালিক
advertisement
শহুরে ব্যস্ততার মাঝে যেন গ্রামের ছোঁয়া এনে দিচ্ছে এই শিল্পকর্ম। এই সৃজনশীল কাজের শিল্পী রূপচাঁদ মুর্মু। গ্রামের ছেলে, তুলির টানে গড়েছেন এক অনন্য উদাহরণ। তাঁর কথায়, “এটি শুধু রঙের কাজ নয়, এর মাধ্যমে আমি চেয়েছি সমাজে সচেতনতার বার্তা পৌঁছে দিতে। বাল্যবিবাহ বন্ধ হোক, মানুষ পরিবেশকে ভালবাসুক—এটাই আমার চিত্রকলার লক্ষ্য।”
আরও পড়ুন : এইভাবে কী সম্ভব? জলের ওপরেই চলছে পড়াশোনা! পানিহাটির অবস্থা দেখলে অবাক হবেন
তার শিল্পকলা দেখে জেলাবাসীরাও মুগ্ধ। রূপচাঁদের চিত্রে ফুটে উঠেছে জঙ্গলমহলের মানুষের জীবন যাত্রার কথা। কেউ কেউ এসে ছবি তুলছেন, কেউ আবার সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করছেন এই নতুন শিল্পরূপ। জেলার সাংস্কৃতিক মহলও রূপচাঁদের কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁদের মতে, সরকারি ভবনেও যদি এইভাবে শিল্পকলার মাধ্যমে সৌন্দর্য ও সচেতনতার মাধ্যম হয়, তাহলে পর্যটক ও সাধারণ মানুষ সকলেই আকৃষ্ট হবেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তার হাতের শিল্পকর্ম শুধু প্রশাসনিক দফতরের দেওয়াল নয়, জেলা ও জেলার বাইরেও প্রশংসিত হয়েছে। তুলির টানই হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। ফের একবার প্রমাণ করে জঙ্গলমহলের মাটিতে এক নতুন বার্তা ছড়িয়ে দিলেন ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের দিনমজুর বাড়ির ছেলে। তার তুলির টানে ঝাড়গ্রাম জেলা শাসকের দফতরের দেওয়াল যেন এক টুকরো জঙ্গলমহল হয়ে উঠেছে।