শীত জমাট বাঁধতেই কনকচূড় ধানে মিষ্টি গন্ধ ধরেছে। নলেন গুড়ের স্বাদ বেড়ে প্রায় দেবভোগ্য। সে সব সহযোগে তৈরি হচ্ছে উৎকৃষ্ট জাতের মোয়া।কনকচূড় ধানের খই আর নলেন গুড়ের মিশ্রণতাতে পড়ে খোয়া ক্ষীর, ঘি তবেই জয়নগরের মোয়া হয় অতুলনীয়।
আরও পড়ুন- মমতার পর বাংলার মসনদে কে? উত্তরসূরি কে হবেন? জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
advertisement
এখন বিদেশ থেকে অর্ডার আসা শুরু হয়ে গিয়েছে। বড়দিনের আগে আরও বরাত দেবে রফতানি সংস্থাগুলি, জানিয়েছে মোয়া ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের। তাঁদের বক্তব্য, খেজুর গাছ থেকে ভালপরিমাণ রস সংগ্রহ হচ্ছে। গুড়ের জোগান পর্যাপ্ত। শীত ভাল ভাবে না পড়লে এসব মিলত না। ফলে গত বছরের তুলনায় এবছর চলতি মাসের মাঝামাঝি থেকে বিদেশে রফতানি বাড়বে।
আরও পড়ুন: সারারাত হোটেলে ছিল কিশোরী মেয়ে, সকাল হতেই চিৎকার! ছুটে বেরিয়ে এসে পুলিশকে যা বলল সে…
এক মোয়া ব্যবসায়ী বলেন, ‘গতবছর ১৫ হাজার পিস মোয়া বিদেশে রফতানি হয়েছে। এবছর এই সময়ের মধ্যে তার থেকে বেশি রফতানি হবে। বড়দিনের আগে বিক্রি আরও বাড়বে।’ তাঁরা জানান, এক রফতানি সংস্থার মাধ্যমে আমেরিকাতে মোয়া পাঠানো হচ্ছে প্রায় ৫০ কেজি। যা সময় নিয়ে যেতে লাগবে পাঁচ দিন। পাঁচ দিনের মধ্যে পৌঁছে যাবে আমেরিকার মাটিতে জয়নগরের মোয়া। ঘি, ক্ষীর কিসমিস, এলাচ, জয়িত্রি, নলেনগুড়, কনকচূড় ধান দিয়ে সে মোয়া তৈরি হয়েছে। গত বছর চেন্নাই বেঙ্গালুরুর এমন কি মালয়েশিয়াতে ও পাঠানো হয়েছিল।
তবে জয়নগরের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, মোয়া হাব যত তাড়াতাড়ি চালু হবে তাতে প্যাকেজিং মেশিন থাকলে রফতানি র পরিমাণ আরও বাড়বে। জয়নগরের এলাকার জুড়ে একের পর এক মোয়ার দোকান। এখন গোটা এলাকা দিনভর মোয়ার গন্ধে মম করছে। অথচ কিছুদিন আগেও বাজার কেমন যাবে তা নিয়ে প্রবল ধন্ধে ছিলেন প্রস্তুতকারকরা। সপ্তাহখানেক আগে কনকনিয়ে শীত পড়তেই খেজুর রসের জোগান বেড়েছে। কনকচূড় ধান সুগন্ধ ছড়াতে শুরু করেছে। ফলে মুখে হাসি মোয়া ব্যবসায়ী দের।
সুমন সাহা