কাটা চলছে সারি সারি খেজুর গাছ। কিন্তু শিউলি আর খেজুর গাছের সঙ্কটে ভুগছে জয়নগর, বহডুর মোয়া শিল্প। শিউলিদের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। বাপ-ঠাকুর্দার পেশায় তাঁদের নতুন প্রজন্ম আসতে চাইছে না। অন্যদিকে, খেজুর গাছের সংখ্যাও কমছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেও কিছু গাছের মৃত্যু হয়েছে। মোয়া শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
advertisement
জয়নগর ও বহডুর মোয়ার খ্যাতি বিরাট। খেজুর গাছ কেটে পাওয়া রস থেকে তৈরি নলেন গুড় এই মোয়া তৈরির অন্যতম উপাদান। এই খেজুর গাছ কাটেন যাঁরা, তাঁদেরকেই শিউলি বলে। এই শিউলির সংখ্যাই কমছে। এক শিউলি বলেন, “৭০-৮০ জন শিউলি ছিলেন এলাকায়। কিন্তু এখন সেই সংখ্যা গিয়ে ঠেকেছে ২০তে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই পেশায় আসতে চাইছে না। সরকারি সুবিধার কথা বলা হলেও, আমরা তা পাইনি”।
তাছাড়া এলাকায় খেজুর গাছও কমেছে। অনেকে খেজুর গাছ কেটে ঘর বাড়ি নির্মাণ করছেন। তা ছাড়া খেজুর গাছ কমে যাওয়ায় গুড়ের জোগান কমেছে। ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল গুড়ের দিকে ঝুঁকছেন। এই সমস্যা নিয়ে মোয়া ব্যবসায়ী বলেন, স্থানীয় শিউলি পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মন্দিরবাজার, মথুরাপুর থেকে শিউলিরা এখানে আসছেন। শিউলিদের নতুন প্রজন্মও গাছ কাটতে চাইছেন না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
খেজুর গাছের বীজ ব্লক প্রশাসন থেকে দেওয়া হয়েছিল। গাছও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলির মৃত্যু হয়েছে। একটি খেজুর গাছে একবার হাঁড়ি দেওয়া হলে যত রস পাওয়া যায়, তা থেকে এক-দু’কেজি গুড় মেলে। কিন্তু গাছের সংখ্যা বহডু, জয়নগরে কমে গিয়েছে। সেই কারণেও অনেক পুরনো শিউলি বসে গিয়েছেন।





