চিকিৎসা, শিক্ষা, ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন ও সামাজিক যোগাযোগ, সব ক্ষেত্রেই ইতিবাচক পরিবর্তন এনে দিচ্ছে জয়দেব সেতু। এর ফলে অজয় নদ পারাপারের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যার অবসান ঘটেছে। বিশেষত বর্ষায় নদীর কজওয়ে ভেঙে যাওয়া বা অস্থায়ী মাচা ভেঙে পড়ার জেরে স্থানীয় মানুষজনকে যে দুর্ভোগ পোহাতে হত তা থেকে রেহাই মিলবে এবার।
আরও পড়ুন: আইসি’র হাতে ঘাস কাটার মেশিন! কারণ জানলে সব গুলিয়ে যাবে
advertisement
২০১৯ সালে শুরু হওয়া নির্মাণকাজ পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে মানুষের ব্যবহারের উপযোগী হল। এখন থেকে দুর্গাপুরের মত চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়া সহজ হবে বীরভূমের মানুষদের জন্য। যেখানে আগে ৩৩ কিমি ঘুরে যেতে হত, সেখান থেকে এখন পাওয়া যাবে সরাসরি পথ।
জয়দেব মন্দিরের সেবায়েত মাধব অধিকারী বলেন, এই সেতুর জন্য আমরা বহুদিন আন্দোলন করেছি। এতদিনে আমাদের সব কষ্ট সার্থক হল। আগে বর্ষাকালে যাতায়াতে ভয়ঙ্কর সমস্যায় হত। এখন সেই সমস্যা আর থাকছে না। শুধু আমাদের জন্য নয়, ব্যবসায়ীদের পক্ষেও এটা একটা বড় সুবিধা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
একই সুর স্থানীয় টোটো চালক অমৃত মণ্ডলের গলাতেও। তিনি বলেন, এই সেতু হওয়ার ফলে আমরা নদী পারাপারে এখন আর সমস্যায় পড়ি না। আগে বর্ষায় ইলমবাজার হয়ে ঘুরে যেতে হত। কিন্তু এখন একেবারে সোজাসুজি চলে যাওয়া যাচ্ছে। এতে সবাই খুব খুশি।