হুগলির পুড়শুড়ার নিমডিঙির বাসিন্দা জয়দেব পরামাণিক। বাবার ছোট্ট চায়ের দোকান। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে পড়াশোনা করার পর আইটিআই কোর্সে ভর্তি হয় জয়দেব। মাত্র ১৯ বছর বয়সে কাজের সন্ধানে পাড়ি দিতে হয় ভিন রাজ্যে। উত্তরকাশির নির্মান সংস্থায় কর্মরত জয়দেব। সেখানেই কাজ করতে গিয়ে বিপত্তি। সুড়ঙ্গে কাজ করার সময় হঠাৎই নামে ধস। আর সেই কারণেই টানা ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গের মধ্যেই আটকেছিল বাংলার আরও দুই শ্রমিক। খবর জানাজানি হতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ অঙ্গনওয়াড়ির শিশুদের খাবারে ওটা কী! তোলপাড় অশোকনগর, আজব সাফাই রাঁধুনিদের
মা তপতি মন্দিরে গিয়ে কেবল ছেলের জন্য প্রার্থনাই করেছেন ১৭ দিন ধরে, যাতে ছেলে সুস্থভাবে মায়ের কাছে ফিরে আসে। তবে সুস্থ হয়ে সুড়ঙ্গ থেকে ফেরা হলেও ছেলে এখুনি বাড়ি ফিরে আসতে চায় না। পুনরায় সে যোগ দিতে চায় কাজে। সুড়ঙ্গ থেকে বেড়িয়ে প্রথমে বাড়িতে ফোন করেন জয়দেব। বাড়ি ফেরা প্রসঙ্গে জয়দেব জানান, ‘তিনি এখনই বাড়ি ফিরতে চান না।’ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জয়দেব সুস্থ হয়ে কাজে ফিরতে চান।
তাপস পরামাণিক এবং তপতি পরামাণিকের ছেলে জয়দেব উত্তরকাশির সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হওয়া ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে অন্যতম৷ মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়ার পর আইটিআই পাশ জয়দেব মা তপতিদেবী-সহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ মাকে আশ্বস্ত করে ছেলে জানান, তাঁর শরীরে কোনও সমস্যা নেই৷ আগের মতোই সুস্থ তিনি৷ এখন হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তবে এখনই সে বাড়ি ফিরতে পারছে না। পুনরায় কাজে যোগ দিতে চায়। ১২ দিনের কাজ বাকি, এরপর সঠিক সময় ছুটি নিয়ে পরিবারের কাছে ফিরবে। তাঁর এই অসীম সাহস আর কাজের নিষ্ঠায় আপ্লুত পরিবার-সহ গোটা দেশ।
রাহী হালদার