এছাড়াও লক্ষ্মীসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান অপর্ণা দাস জানান, কম করে ২২ জন বাসিন্দা জন্ডিসে আক্রান্ত হন। বর্তমানে অসুস্থ রয়েছেন ছয় জন। অনেকই ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন। অসুখের খবর পেয়েই তাঁরা ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন। ট্যাঙ্কের মাধ্যমে বিশুদ্ধ জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়। বর্তমানে দিনে দু’বার ট্যাঙ্কের মাধ্যমে জল দেওয়া হচ্ছে গ্রামে। বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। জন্ডিসে আক্রান্ত চঞ্চল পান্ডা জানান, “জ্বর, পেট ব্যথা নিয়ে হাসপাতাল এসে দেখি জন্ডিস হয়েছে। শরীর এখন অনেকটা সুস্থ, হাসপাতাল থেকে ফিরে যাচ্ছি। জন্ডিসে আরও বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছেন।”
advertisement
এই একই গ্রামের আরও এক গ্রামবাসী পীযূষ পন্ডার মেয়ে জন্ডিসে আক্রান্ত হয়ে বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন হয়। পীযূষ জানান, “প্রথমে জ্বর ও বমি শুরু হয়। প্রথমে সিমলাপাল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। তার পরে খাতড়া মহকুমা হাসপাতাল এবং বাঁকুড়া মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে জন্ডিস ধরা পড়ে।” ব্লক স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে গ্রামের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন করে জন্ডিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়েনি। বিএমওএইচ জানান যে, গ্রামের পানীয় জলের উৎসগুলি থেকে যে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছিল, তার মধ্যে একটি উৎসের নমুনায় জন্ডিসের জীবাণু মিলেছে।
ফলত গ্রামবাসীকে জল ফুটিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বাসিন্দাদের আতঙ্কিত না হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।






