পুরাণ মতে, কৃষ্ণকে বিষ্ণুর অষ্টম অবতার বলেই মনে করা হয়। মথুরা-বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ জন্মাষ্টমীর দিন যেমন বিশেষ জাঁকজমক করে পালন করা হয়, ঠিক তেমনি এই মন্দিরেও বিভিন্ন প্রথা ও রীতি মেনে জন্মাষ্টমী পালন করা হয়। মুর্শিদাবাদ জেলার গোপাল টুঙ্গী মন্দির জন্মাষ্টমী উপলক্ষে মন্দির পরিষ্কার ও মন্দির সাজাতে ব্যস্ত মুর্শিদাবাদ জেলাবাসী। এই অতি প্রাচীন মন্দির প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ বছরের পুরনো। এই মন্দিরে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম নীতি আছে।
advertisement
আরও পড়ুন : মন্দিরনগরীর নতুন আকর্ষণ, স্বাধীনতার রাতে উদ্বোধন সুবিশাল নেতাজি মূর্তির
জন্মাষ্টমীর দিন ঠাকুরকে সকালে একবার সেবা দেওয়া হয়। ভক্তগণ দর্শন করেন এবং সন্ধ্যার সময় সন্ধ্যা আরতি হয়। তারপর বিশেষ অভিষেক ও তারপর ঠাকুরের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়। প্রসাদ খাওয়ার জন্য সাড়ে তিন থেকে চার হাজার লোকের আয়োজন করা হয় জন্মাষ্টমী উপলক্ষে। সাধারণত প্রতিদিনই এখানে নাম কীর্তন হলেও, জন্মাষ্টমীর দিন বিশেষ নাম কীর্তন, ধর্ম সভা, পালা কীর্তন, গীতা পাঠ, পুজোর বিশেষ আরতির আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন : যাত্রীদের অভিভাবক, রাতদিন পাহারা! রাষ্ট্রপতি পুরস্কারে সম্মানিত রেলকর্মী
আগত ভক্তরা সন্ধ্যায় পুষ্পাঞ্জলী দিয়ে থাকেন মন্দিরে। তারপর প্রসাদ বিতরণ করা হয়। জন্মাষ্টমী তিথি উপলক্ষ্যে পুজোর দায়িত্বে আছেন সৈকত রায়। তিনি জানান, গত বছর পর্যন্ত ৭০০ থেকে ৮০০ লোকের জন্য প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা ছিল। এখন বাড়িয়ে ১০০০ জনের করা হবে। কারণ ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মুর্শিদাবাদ জেলার কান্দি শহরের মধ্যেই গোপালটুঙ্গী মন্দির অতি প্রাচীন । দীর্ঘদিন ধরেই এই জন্মাষ্টমী পুজো পালন হয়ে আসছে মন্দিরে। পুজো কখনও বন্ধ হয়নি এই মন্দিরে। শুধু মুর্শিদাবাদ জেলার বসবাসকারী ভক্তবৃন্দরা নয়, বাইরে বিভিন্ন গ্রাম থেকে ভক্তবৃন্দরাও এই মন্দিরে ঠাকুর দর্শনে আসেন জন্মাষ্টমীর দিন। এমনকি পর্যটকদের এখন নতুন আকর্ষণ এই গোপালটুঙ্গী মন্দিরের জন্মাষ্টমী তিথি উপলক্ষে আয়োজিত পুজো। সকলেরই দৃষ্টি কেড়েছে এই মন্দিরে রীতিনীতি ও পুজোর আয়োজন।