তবে, হ্যাঁ জন্মাষ্টমী এবার বেশ কিছুদিন পিছিয়ে। আর তাতেই তাল হয়ে উঠেছে তালেবর! আর সেই কারণেই তাল খুঁজতে বেতাল হয়ে পড়ছেন গৃহস্থরা। ১৫-২০ টাকার তাল বিকোচ্ছে ২০০- ৫০০ টাকায়! ভোজ্য তেল, নারকেল অন্যান্য উপকরণেরও দাম অগ্নি মূল্য তাই গৃহিণীরা তালকানা হয়ে ছুটছেন মিষ্টির দোকানে। এই সুযোগে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরাও, তালক্ষীর, তালেরবড়া-সহ নানান মিষ্টান্নর সঙ্গে পসরা সাজিয়ে নিয়ে বসে আছেন। সন্ধ্যা থেকেই তালের বড়া বিক্রি করা বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে মাছি গলারও জায়গা নেই।
advertisement
আরও পড়ুনঃ জন্মাষ্টমীতে মিলছে রেডিমেড তালের বড়া! দোকানের বাইরে গৃহিণীদের লম্বা লাইন
রানাঘাটের বাসিন্দা মলয় কুমার নন্দী আজ সকালে বাজারে গিয়ে, তালের স্বাদ নিয়েছেন চোখে, পরবর্তীতে হাতে কিন্তু দাম শুনে জিভে নেওয়ার সামর্থ্য হয়নি। তাই এবার তালবিহীন গোপাল ভোগ দিতে চলেছেন তিনি। এর পেছনে অবশ্য তিনি ঘরে ঘরে গোপালপুজো বৃদ্ধির কারণ দেখিয়েছেন। শান্তিপুর কাশ্যপ পাড়ার বহু পুরানো পশুপতি মিষ্টান্ন ভান্ডারের দোকানে অনিতা ইন্দ্র বলেন, ইদানিং ছোট ছোট পরিবারে ঝামেলা ঝঞ্ঝাট, তারপর সমাজে ইঁদুর দৌড়ে সময়ের অভাব। সেই কারণেই নারকেল নাড়ু, তালের বড়া, নানান পিঠে কেনার তাগিদে দোকানে আসেন সাধারণ মানুষ।
তালের বড়া মিষ্টির দোকানে কিনতে আসা অতসী প্রামাণিক জানালেন, ঠাকুরের জিনিস বাড়িতে বানালে ছোঁয়াছুয়ি হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই মিষ্টির দোকান থেকে কেনা নিরাপদ। যদিও ওই বাজারেরই ফল বিক্রেতা বিশ্বজিৎ কুন্ডু জানান এবারে জন্মাষ্টমী কিছুটা দেরিতে তাই গাছে তাল নেই, দাম তো বাড়বেই। ফুলিয়ার ফল বিক্রেতা অমর বিশ্বাস বলেন ৩০ বছর ধরে ফলের ব্যবসা করছি, দোকানে আপেল, আঙ্গুর, নাশপাতি, কিসমিস বিক্রি করি তবে এবারে সংযোজন হয়েছে তাল।
ফুলিয়ার বাজারের আর এক বিক্রেতা অসীম সিকদার বলেন, দাম বৃদ্ধি নিয়ে খরিদ্দারকে বোঝাতে গিয়ে মাথা খারাপ সকাল থেকে। বরং কলকাতা গেলে, এখানকার দু-আড়াইশো টাকার তাল সেখানে অনায়াসে ৫০০ টাকায় বিক্রি হতো।
Mainak Debnath