বছর আটেক আগে রঘুনাথগঞ্জ থানার খড়িবোনা গ্রামে মুন্নির সঙ্গে বিয়ে হয় আজিজুল শেখের। তাঁদের কোনও সন্তান হয়নি। মুন্নি বিবি বিড়ি বেঁধেই সংসার চালাতেন। অভিযোগ, স্বামী রাজমিস্ত্রীর কাজ করলেও ঠিক মতো কাজ করত না। মুন্নি প্রতিদিন হাজার দেড়েক বিড়ি বাঁধত আর সেই মজুরির টাকা স্বামী কেড়ে নিত। কিন্তু এত অত্যাচারের পরও স্বামীর ঘর করার জন্য মুখ বুজে সব অত্যাচার সহ্য করত মুন্নি।
advertisement
অভিযুক্তরা সকলেই পলাতক। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। গুরুতর আহত অবস্থায় মুন্নিকে মর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করার পড়েই মৃত্যু হয় তাঁর। মুন্নি খাতুনের আত্মীয় ঝন্টু শেখ বলেন, '' নেশা করার জন্য মুন্নির স্বামী ওকে খুব অত্যাচার করত। তাও মেয়েটা সব অত্যাচার সহ্য করে থাকত। আমরা চাই ওর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের পুলিশ কঠিন শাস্তি দিক।'' মুন্নি খাতুনের দাদা জাহিরুল শেখ বলেন, '' আমার বোন খুব কষ্ট করে বিড়ি বেঁধে সংসার চালাত। নেশা করার টাকা আদায়ের জন্য আজিজুল ওকে খুব মারধর করত। আমরা বোনকে বাড়ি নিয়ে চলে আসলে ওর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মীমাংসা করে লিখিত দিয়ে বোনকে নিয়ে গিয়েছিল। তারপরেই এই ঘটনা ঘটে গেল। আমরা ওর শ্বশুরবাড়ির লোকদের ফাঁসি চাই।''
Pranab Kumar Banerjee