পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে অভিযুক্তেরা স্থির করে তাদের টার্গেট। টার্গেটে থাকা ব্যক্তির ওপর নজরদারি চালানো হয় বেশ কয়েকদিন। এরপর নজরে থাকা ব্যক্তির জন্য তৈরি করে ফেলেন ফাঁদ। ঠিক তারপরই ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করা হয় টার্গেটে থাকা ব্যক্তিকে। এ ছাড়াও গ্যাংয়ের অনেকই ছড়িয়ে থাকে স্থির করা এলাকায়। গ্যাংয়ের সূত্র ধরে সংগ্রহ করা হয় টার্গেট ব্যক্তির সম্পরকিত নানা খুঁটিনাটি তথ্য। এরপর সব তথ্য সংগ্রহের পর ধীরে ধীরে সেই ব্যক্তির মাধ্যমে চেষ্টা করে মুখ লক্ষ্যে পৌঁছাতে। সাইবার ক্রাইমের আধিকারিকদের দাবি, গত এক বছর এ ভাবেই বীরভূমে পঞ্চাশ (৫০) জনেরও বেশী বাসিন্দাকে বিভিন্ন সরকারি সাবসিটির টাকা বিষয়ক ফোন করে ওটিপি চেয়ে এবং অ্যাপসের মাধ্যমে এটিএম থেকে টাকা হাতিয়ে এই তিনজন।
advertisement
আরও পড়ুন: জঙ্গল থেকে সটান বিয়েবাড়িতে ঢুকে পড়ল দাঁতাল! গঙ্গাজলঘাটিতে প্রবল আতঙ্ক...
এ দিন হেলমেট ও মাস্ক পরে এটিএমে ঢুকে টাকা তোলাতেই প্রথম সন্দেহ হয় এলাকার বাসিন্দাদের। সন্দেহের বশে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই দেখা যায় তাদের কোনও মোবাইল ফোন নেই, যে বাইকে চড়ে তারা এসেছিল, সেই বাইকেরও কোনও নম্বরপ্লেট ছিল না। তখনই এলাকাবাসীর মনে সন্দেহ জাগে। সন্দেহ হতেই খবর দেওয়া হয় দুবরাজপুর থানায়। পুলিশ এসে আটক করে ওই তিন ব্যক্তিকে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পরে পুলিশ জানতে পারে, ওই তিনজনই জামতারা গ্যাংয়ের সদস্য। ওটিপির মাধ্যমে এটিএম থেকে টাকা তোলে তারা। ধৃতদের থেকে এ দিন উদ্ধার হয় ২০,৩০০ টাকা। নম্বরপ্লেট-হীন বাইকটিও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের বাড়ি ঝাড়খন্ডের জামতারায়। তাদের নাম উমাচরণ গোপ, যাদব গোপ এবং রাকেশ সাহা। জামতারা থেকেই নম্বরপ্লেট বিহীন বাইক নিয়ে বীরভূমে এসেছিল তারা ।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটির ভিড় সামাল দিতে ছুটছে দিঘা স্পেশ্যাল ট্রেন, কখন-কোথা থেকে ছাড়বে জানেন?
এলাকাবাসী শেখ রামকুমার জানান, 'এটিএমে এক ব্যক্তি হেলমেট ও মাস্ক পরে ঢুকছিল, সঙ্গে আরও দু'জন ছিল। সন্দেহ হয় বাইকে কোনও নম্বরপ্লেট না থাকায়। এমনকি টাকা তোলার পরও এটিএমের সামনে ঘোরাঘুরি করছিল। কী করছে জিজ্ঞেস করতেই জানায় কাছে ফোন নেই। তখনই অবাক লাগে। দেরি না করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছিল।দুবরাজপুর থানার পুলিশ এসে বাইক-সহ ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।' ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
Supratim Das