এই জলের জেরে বিঘার পর বিঘা ধানের ক্ষেত জলমগ্ন। ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে কৃষিকাজ। পাশাপাশি, জল ঢুকেছে একাধিক বাড়িতেও। সেই হাঁটু সমান জল পেরিয়ে বাড়িতে ঢুকতে হচ্ছে গৃহস্থদের। চরম দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসীরা। স্থানীয়দের কথায়, ২০০০ সালের বন্যার পর এমন পরিস্থিতি দেখলো তারা। অল্প দিনের ব্যবধানে দুবার এই জলমগ্ন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় চিন্তায় জালপাড়ার বাসিন্দারা। এই প্রসঙ্গে জালপাড়ার স্থানীয় বাসিন্দা দুলাল রায় জানান, খুব সমস্যায় রয়েছি আমরা। বহুবছর পর এই পরিস্থিতি দেখলাম। চাষের ক্ষতি হল, বাড়িতেও জল জমে রয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বজবজে নদী ভাঙন রোখার জন্য শুরু হল মেগা প্রজেক্টের কাজ
পূর্ব বর্ধমান জেলার পরিচিতি রয়েছে ধানের গোলা হিসেবে। কিন্তু পরপর দুমাসে দুবার নিম্নচাপ এবং ছাড়া জলের জেরে ক্ষতির মুখে সেই ধান চাষ। এলাকার বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কাজকর্মও। তাছাড়া এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু বাড়িতেও জল জমে রয়েছে। এই বিষয়ে দুলাল রায় আরও বলেন, এই এলাকার কম বেশি অনেকেরই চাষের ক্ষতি হয়েছে। কুনুর নদীর জল বেড়ে যাওয়ার জন্য মনে হয় এই অবস্থা। রান্না , খাওয়া করতে হচ্ছে খুব কষ্টে। প্রশাসনের তরফে সাহায্য পেলে ভাল হয়।
তবে কেবলমাত্র কৃষি জমি বা বাড়ি নয়। বেশ কিছু জায়গায় জলের তলায় চলে গিয়েছে মূল সড়ক। হাঁটু সমান জল পেরিয়েই করতে হচ্ছে যাতায়াত। স্থানীয়দের কথায় আগের থেকে কিছুটা জল কমলেও, এখনও কাটেনি এই দুর্ভোগ। কতদিনে এই সমস্যার হাত থেকে নিস্তার মেলে, সেই দিকেই তাকিয়ে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের জালপাড়া ও সেই সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী