উৎসাহী হয়ে কিনছেন অনেকে। চাপ-বিরিয়ানি মুখে তুলে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন। ঠিকানা বলে রসাস্বাদন করতে বলছেন মেলায় আগতদের। এই স্টল আসলে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের। সংশোধনাগারের ঘেরাটোপের বাইরে তাঁরা রান্নার পারদর্শীতা দেখালেন।
শীতের শুরুতে বর্ধমানের উৎসব ময়দানে খাদ্য রসিকদের জন্য মেলার আসর বসেছে। প্রচুর খাবারের স্টল মাঠ জুড়ে। কী খাবার নেই সেখানে! মোল্লার, চাইনিজ, কন্টিনেন্টাল সহ প্রায় সব ধরনের খাবার মিলছে সেখানে। তারই মাঝে নজর কাড়ছে 'উদয়ন' স্টল।
advertisement
এই স্টলে খাবার তৈরি থেকে খাদ্য রসিকদের হাতে প্লেট তুলে দেওয়া, সবই করছেন বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আবাসিকরা। তাঁরা কোনও কারণে অপরাধ করে ফেলেছিলেন। সে কারণে এখন তাঁরা বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সাজা খাটছেন। কিন্তু তাঁদের কয়েকজনের রান্নার হাতটা বেশ ভাল। তাই কারা বিভাগ তাঁদের সেই সুযোগটা করে দিয়েছে।
রান্নার কাজে তাঁদের উৎসাহ দিয়েছে কারা বিভাগ। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আবাসিককে কয়েকজনকে সেখানের ক্যান্টিন 'উদয়ন'-এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সংশোধনাগারের চার দেওয়ালের ঘেরাটোপেই শুধু নয়, এবার তার বাইরেও রান্না করা ও তা পরিবেশনের সুযোগ করে দিয়েছে কারা বিভাগ।
বর্ধমানের এই খাদ্য মেলায় অন্যান্যদের মতো স্টল পেয়েছে উদয়ন। সেখানে সাদা পোশাকের চার বন্দি স্টল চালাচ্ছেন। সঙ্গে অবশ্যই থাকছে পুলিশ প্রহরা। স্টলে গিয়ে দেখা গেল ভিড় বাড়লে বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সাব জেলার সত্যদীপ রায়, জেলার আব্দুল কালামরাও অনেক সময়ে বাড়িয়ে দিচ্ছেন সাহায্যের হাত।
আরও পড়ুন- East Bardhaman News: ১৬ মেট্রিকটন মতো সবজির ফলন! রাজ্যের এই জেলা যেন সত্য়িই সবুজের ভাণ্ডার
এক সময় বর্ধমান রেঞ্জের ডি আই জি (কারা) ছিলেন নবীনচন্দ্র সাহা। তিনিই মূলত সংশোধনাগারের আবাসিকদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। নৃত্য, সংগীত, নাটক সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় সংশোধনাগারে। রন্ধনশৈলিতে পারদর্শীদের এবার সুযোগ করে দেওয়া হল মেলায় স্টল করার।