রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম গ্রামান্তর থেকে অভিভাবকেরা ছেলে-মেয়েদের পাঠান কলকাতায় উচ্চশিক্ষিত করতে। কিন্তু নামিদামি কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ভাবে দিনের পর দিন নিগৃহীত হতে হয় এই সমস্ত পড়ুয়াদের তাতে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিচ্ছে। অন্যদিকে বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না যাদবপুর ইউনিভার্সিটির।
ঝালদার বিশ্বজিৎ প্রামানিক বুধবার রাতে নিগৃহীত হয়ে অবশেষে ভর্তি হয় হাসপাতালে। নিজের সমস্ত কাজকর্ম ছেড়ে ছেলেকে উদ্ধার করতে কলকাতা ছুটতে হয় তার বাবা মেঘবরণ প্রামানিক, যদিও এক্ষেত্রে ঘটনা ততটা গুরুতর ছিল না। অন্যদিকে বিতর্ককে এড়িয়ে ছেলের প্রকৃত শিক্ষার পরিবেশের আবেদন করেই ফিরেছেন মেঘবরণ বাবু। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বন্ধুদের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। ছেলের অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি কলকাতা গিয়েছিলেন। সব কিছু এখন ঠিকই আছে। তাঁর ছেলে সুস্থ আছে। কারোর বিরুদ্ধে তার কোনও অভিযোগ নেই। তিনি তাঁর ছেলেকে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতেই পড়াতে চান।
advertisement
আরও পড়ুন- Astro Tips: এই গাছের সঙ্গে ভুলেও ভুল করবেন না, শনিবার এই গাছের আরাধনা জীবনের বড় মোড় ঘুরিয়ে দেবে
এদিকে জঙ্গলমহলের মানুষের দাবি। শিক্ষার পরিবেশ এভাবে যেন বারবার কলুষিত না হয় কলকাতার বুকে। এ বিষয়ে বাগমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুজয় কুইরি বলেন , গ্রামীণ ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতার বিভিন্ন নামিদামি কলেজে পড়তে যান। বাঘমুন্ডি বিশ্বজিৎও উচ্চশিক্ষার জন্য যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছে। সেখানে বেশ কিছু সমস্যা হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে তা সমাধান হয়ে গিয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ যাতে গ্রামীণ ছেলে-মেয়েরা সুষ্ঠুভাবে পড়াশোনা সুযোগ পায় সে বিষয়ে নজর দিক।
বিতর্ক আর যাদবপুর ইউনিভার্সিটি যেন কেউ কারোপিছু ছাড়ে না। বিগত কিছুদিন আগে যাদবপুর ইউনিভার্সি মর্মান্তিক ঘটনা এক প্রকার নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশবাসীকে। তাই ছাত্র নিগ্রহের কথা প্রকাশ্যেএলে সকলের সামনে সেই ভয়ংকর ঘটনার কথায় মাথায় আসে। যদিও বাঘমুন্ডির বিশ্বজিৎ কুইরির সঙ্গে তেমন কোনও বড়সড়ঘটনা ঘটেনি। তবুও তার পরিবার ও আশেপাশের এলাকার মানুষচায় যাতে সে সুষ্ঠুভাবে আগামী দিনে নিজের উচ্চ শিক্ষার পথে এগিয়ে যেতে পারে।
Sharmistha Banerjee