ভাঙড় নিয়ে অশান্তির শেষ হচ্ছে না৷ পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে মারাত্মক রক্তক্ষয়ী অশান্তি শুরু হয় ভাঙড়ে৷ সেখানে একের পর এক মৃত্যু ঘটতে থাকে৷ এর পর গণনার দিন রাতে হঠাৎই তীব্র অশান্তি শুরু হয়৷ ভাঙড়ের প্রতক্ষ্যদর্শীরা বলেন, সেখানে সে দিন রাতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়৷ একের পর এক বোমাবর্ষণ, গুলির শব্দে ভাঙড়ের বাসিন্দারা প্রাণ হাতে করে কাটিয়েছিলেন সেই একটি রাত৷
advertisement
আইএসএফ-এর তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, পুলিশের উর্দি পরে বেশ কয়েকজন গ্রামে প্রবেশ করে এই তাণ্ডব চালিয়েছে৷ এর ফলে তাঁদের দলীয় কর্মী অনেকেই আহত হয়েছেন, মারাও গিয়েছেন৷ পাল্টা তৃণমূলের তরফ থেকে হামলার পুরো দায় চাপানো হয় আইএসএফ-এর ঘাড়ে৷ সেখানে বলা হয়, আইএসএফ-এর সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা ভাঙড় জুড়ে সে রাতে তাণ্ডব চালিয়েছে৷
পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেও উঠে আসে ভাঙড়ের পরিস্থিতির কথা৷ সেখানে বিরোধীদলকে তিনি দায়ী করেন অশান্তির জন্য৷ অশান্তি এড়াতে পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছয় ভাঙড়ে, আঁটোসাঁটো করা হয় নিরাপত্তা৷ সেই ঘটনারই রেশ ধরে বুধবারের গ্রেফতার৷ পুলিশের অভিযোগ ভাঙড়ের ঘটনায় সরাসরি যুক্ত ছিলেন ওহিদুল৷