প্রত্যেকে একবার হলেও চেখে গিয়েছেন সিউড়ির মোরব্বা।আবার অনেকে নিয়েও গিয়েছেন প্রিয়জনের জন্য।কিন্তু জানেন কি সিউড়ির এই মোরব্বার ইতিহাস? সালটা ছিল ১৭১৮। শোনা যায়, বীরভূমের রাজনগরের নবাব ছিলেন বদির উদজ্জামাল গিয়েছিলেন উত্তর ভারত ভ্রমণে। সেখানে গিয়েই মোরব্বার প্রেমে পড়েছিলেন নবাব। ভ্রমণ শেষে ফিরে আসার সময় সেখান থেকে মোরব্বা তৈরির কারিগর নিয়ে আসেন সঙ্গে করে। সিউড়িতে মোরব্বা তৈরির সেই শুরু।
advertisement
আরও পড়ুনOld Temple History: হাজার বছরের পুরানো মন্দির, এলে ভক্তি বাড়বে, স্বাদ মিলবে ইতিহাসের, বাংলার কোথায়
স্বাধীনতার বহু আগে নবাবের সঙ্গে এসে প্রথম মোরব্বার ব্যবসা শুরু করেছিলেন সজনীকান্ত দে। সিউড়ির মালিপাড়ায় কুঞ্জবিহারী মিষ্টান্ন ভান্ডার এর নামে শুরু হয় প্রথম মোরব্বার দোকান।পরবর্তীকালে তার ছেলে দিগম্বর প্রসাদ দে সিউড়ির তিন বাজারে তৈরি করেন মোরব্বা মিষ্টান্ন মন্দির । ১৯৭৪ সালে তাদেরই বংশধর নন্দদুলাল দে সিউড়ির বাসস্ট্যান্ডে মোরব্বার দোকান করেন। নাম রাখা হয় ‘মোরব্বা’।
তারপর থেকেই এই দোকান ঐতিহ্য বহন করে চলেছে নবাবের প্রিয় মিষ্টির।বংশ পরম্পরায় চলছে এই দোকান। তবে একসময় শুধুই পাওয়া যেত চাল কুমড়োর মোরব্বা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই তালিকায় যোগ হয় যথাক্রমে বেল, শতমূলী, ন্যাশপাতি, আম, গাজর, পটল, লাল লঙ্কা, আরও কত কী।
সৌভিক রায়