ফের বন্যার ভ্রুকুটি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুর সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। অতিবৃষ্টিতে আর বিভিন্ন বাঁধ থেকে জল ছাড়ার কারণে হু হু করে বাড়ছে কংসাবতী, শিলাবতী, সুবর্ণরেখা সহ বিভিন্ন নদীর জলস্তর। ফলে জুন মাসের পর জুলাই মাসেও দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা দিয়েছে বন্যার আতঙ্ক। ইতিমধ্যে গর্জন করে বইছে কংসাবতী নদী। নদী তীরের এলাকার মানুষজনের বাড়ছে ভয়। চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত গত বছরের (২০২৪) তুলনায় দ্বিগুণ বৃষ্টিপাত হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর শহরের উপকন্ঠে অ্যানিকেত বাঁধ (Anicut Dam) পরিদর্শনে এসে তথ্য, পরিসংখ্যান সহ তুলে ধরলেন রাজ্যের জলসম্পদ উন্নয়ন ও সেচ দফতরের মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভূঁইয়া এবং জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি।
advertisement
আরও পড়ুন: পিছু ছাড়ছে না বন্যাতঙ্ক…! ফের শিলাবতী ফুলেফেঁপে উঠতেই রাতের ঘুম উড়ছে বাসিন্দাদের, দেখুন কী পরিস্থিতি
সেই সঙ্গে গালুডি সহ পাঞ্চেত, মাইথন, তেনবাঁধ এবং দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে অতিরিক্ত মাত্রায় জল ছাড়ার কারণটিকেও দায়ি করেন তাঁরা। মেদিনীপুর শহরের অদূরে কংসাবতী নদীর উপর অ্যানিকেত বাঁধ থেকেও শুরু হয়েছে জল ছাড়া। ফলে, নতুন করে জলমগ্ন হতে শুরু করেছে মেদিনীপুর সদর মহকুমার কেশপুর, সুবর্ণরেখা নদীতে জল বাড়ার কারণে খড়গপুর মহকুমার কেশিয়াড়ি, দাঁতন সহ বেশ কিছু এলাকায় ভয় বাড়ছে। কংসাবতী নদীর অ্যানিকেত বাঁধের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন সেচ দফতরের মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভূঁইয়া। কংসাবতী নদীতে জল বাড়ার কারণে অ্যানিকেট বাঁধ থেকে জল ছাড়তে শুরু করা হয়েছে। নজরদারি রাখা হচ্ছে ডেবরা এলাকায়। কেশপুরের আনন্দপুর এবং চন্দ্রকোনার বাঁকা পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। ডেবরা একটি বাঁধ এর ক্ষতি হয়েছিল সেটা মেরামত করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ৩৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টি বেশি হয়েছে। জানুয়ারি মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত জেলায় বৃষ্টি হয়েছে ১১২৪ মিলিমিটার। গত বছর বৃষ্টি হয়েছিল ৫৬৫ মিলিমিটার। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ার কারণে বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। জেলা প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া।
রঞ্জন চন্দ