ঘাটালের মহকুমা শাসকের অফিসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ও ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে একটি জরুরি বৈঠক হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া, জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরী, জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সহ সেচ দফতরের একাধিক আধিকারিক। ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে, নদীগুলিতে জল বাড়ছে, মনসুকায় ঝুমি নদীর জল বেড়ে প্লাবিত হচ্ছে একের পর এক গ্রাম। দীর্ঘ এক মাস ধরে চলছে এই জলযন্ত্রণা। কবে মুক্তি মিলবে? সেই চিন্তায় স্থানীয় মানুষজন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ তাঁর তৈরি বোমা নিয়েই কিংসফোর্ডকে মারতে গিয়েছিলেন ক্ষুদিরাম, বোমা তৈরির মাস্টার এই ব্যক্তিকে চেনেন
বৈঠকে রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস বলেন, ইতিমধ্যেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে, খুব শীঘ্রই শেষ হবে। প্রশাসন সর্বদা তৎপর রয়েছে। জরুরি পরিষেবার জন্য খোলা হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প, বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে একাধিক স্পিডবোট, পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে রান্না করা খাবার। এছাড়া শুকনো খাবারও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছে প্রশাসন। একইসঙ্গে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ কবে শেষ হবে সেটাও জানিয়ে দেন সেচমন্ত্রী।
মানস বলেন, “আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে চলেছি। ২০২৭ সালের মার্চের শেষে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ সম্পন্ন হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, প্রত্যেক বছর বর্ষা এলেই শিরোনামে উঠে আসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, শুরু হয়ে যায় তরজা। তবে এবার রাজ্যের সেচমন্ত্রী নিজে এই প্রকল্প নিয়ে বড় আপডেট দিলেন। জানিয়ে দিলেন, ২০২৭ সালের মার্চের শেষে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
মিজানুর রহমান