ইরান ইজরায়েল যুদ্ধে আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ নদিয়ার বেশ কয়েকটি পরিবার চরম দুশ্চিন্তায়। তার কারণ তাঁদের পরিবারের সদস্যরা কর্মসূত্রে ইজরায়েলে রয়েছেন। খবরের চ্যানেল কিংবা সোশ্যাল মাধ্যমে এক একটি ভিডিও দেখে শিউরে উঠছেন সেই সব পরিবারের সদস্যরা। তবে এখনও ফোনে কথা হয়েছে, কিন্তু তাঁদের পরিবারের ছেলেরা যতক্ষণ না নিরাপদে বাড়িতে পা রাখছেন শান্তি পাচ্ছেন না তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন – SSC Protest: ‘ভিক্ষা নয়, ভাতা নয় যোগ্য চাকরি ফেরত চাই!’এবার ধর্মতলায় অবস্থান কর্মসূচি চাকরিহরাদের
বর্তমানে ইরান এবং ইজরায়েল যুদ্ধের দামামা বেজেছে৷ বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া নদিয়ার এই গ্রাম থেকে প্রায় ৩৩ জন যুবক কর্মসূত্রে ইজরায়েলে। তবে বর্তমানে আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা এবং তাঁদের পরিবারও। কাজ তো দূরে থাক প্রাণ বাঁচাতে এখন বাঙ্কারই ভরসা তাঁদের। বিভিন্ন জায়গা থেকে উড়ে আসছে ক্ষেপণাস্ত্র, পরিবারের মুখে দুটো অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য দেশ ছেড়েছিলেন তারা, এখন মরিয়া দেশে ফিরতে।
তেহট্টের বেতাইয়ের বাসিন্দা গোষ্ঠচরণ বিশ্বাস জানান, তার দুই ছেলে বড় সঞ্জীব বিশ্বাস, ছোট সুজিত বিশ্বাস। ছেলেরা ফোন করে বলেছে, ‘‘যখন তখন মিসাইল এসে পড়ছে। এ মিসাইল হামলার ঠিক ১০ মিনিট আগে সকলের মোবাইলে অ্যালার্ম বাজছে, তখনই আন্ডারগ্রাউন্ড অত্যাধুনিক বাঙ্কারে ঢুকতে হচ্ছে।’’ ছেলেরা ফোন করে জানিয়েছে কয়েকদিন তাঁরা বাঙ্কারের মধ্যেই আছে। গোষ্ঠবাবু জানিয়েছেন, ‘‘খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি সকলে যেন সুস্থভাবে বাড়ি ফিরতে পারে।’’
তিন মাস আগে গিয়েছে বেতাই লালবাজারের সদানন্দ হালদার। তার মা আদুরি হালদার চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে আছে। তিনি বলেন, ‘‘ঋণ নিয়ে ছেলেকে ইজরায়েলে পাঠিয়েছি। বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ছেলের জন্য দুশ্চিন্তায় আছি। বারেবারেই ছেলেকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে খোঁজ খবর নিচ্ছি৷’’
বেতাইয়ের বিথীকা ভক্তের স্বামী দেবরাজ ইজরায়েলে আছেন। চরম দুশ্চিন্তায় বিথীকা। চাইছেন ফিরে আসুক স্বামী।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় বেতাই ১ নং ও ২ নং পঞ্চায়েত এলাকা থেকে প্রায় শতাধিক যুবক ইজরায়েলে কর্মরত। শুধুমাত্র লালবাজার থেকেই ইজরায়েলে আছে প্রায় ৩০ জন, প্রত্যেক পরিবারে আতঙ্কের ছাপ।
বেতাই-১ নং পঞ্চায়েত প্রধান শম্পা মন্ডল জানান যে প্রতিনিয়ত ইজরায়েলে থাকা পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
Mainak Debnath