শুধুমাত্র ভাষার জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে গুলি বুকে পেতে নিয়েছিল বরকত, জব্বর শফিউর’রা। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁদের রক্তে রাঙা হয়ে উঠেছিল ঢাকার রাজপথ। পরে সেই ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই গড়ে ওঠে স্বাধীন বাংলাদেশ। সেই ভাষা আন্দোলনের বীর শহিদ শফিউর রহমানের জন্মভিটে এপার বাংলার হুগলিতে।
আরও পড়ুন: সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে ভাষা দিবস উদযাপন
advertisement
বাংলা ভাষার দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ভাই ৭২ বছর আগে শহিদ হয়েছিল। সেই স্মৃতি আঁকড়ে ধরে আজও প্রতিটা দিন বাঁচেন কোন্নগরে তাঁর পরিবার। হুগলির কোন্নগরের ভাষা শহিদ শফিউর রহমানের জন্মভিটের আজ জরাজীর্ণ অবস্থা। সেখানেই স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে রয়েছেন তাঁর ভাইয়ের পরিবার।
১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকার রাস্তায় পুলিশের তপ্ত বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলেন জব্বার, সালাম, শফিউরের মতো দামাল ছেলেরা। সেদিন বীর শহিদদের রক্তে ভেসে গিয়েছিল রাজপথ। শফিউরদের রক্তের বিনিময়ে বহু সংগ্রামের পর অবশেষে বাংলা ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। সেই দিনের রক্তাক্ষয়ী সংগ্রামে যারা শহিদ হয়েছিলেন তাঁদের মধ্য এপার বাংলার দুই কৃতী সন্তান ছিলেন। একজন মুর্শিদাবাদের আবুল বকর ও অন্যজন হুগলির কোন্নগরের শফিউর রহমান।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
কোন্নগরের ডিওলডির কাছে জিটি রোডের উপর পৈত্রিক বাড়িতে ১৯১৮ সালের ২২ জানুয়ারি জন্ম নিয়েছিলেন শফিউর। পড়াশোনা করেছিলেন স্থানীয় কোন্নগর হাইস্কুলে। উচ্চশিক্ষা নেন কলকাতার গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শফিউর রহমানের পরিবার চলে যান পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায়। বাঙালির বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার্থে তাঁর এত বড় আত্মবলিদান বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় এত বছর ধরে ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁর স্মৃতি রক্ষার্থে কোনরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি এপার বাংলায়। ভাষা শহিদ শফিউরের বাড়িটি কোন্নগরের জরাজীর্ণ ভগ্নঅবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। তাঁর আত্মীয়-স্বজন সেখানেই বাস করেন।
রাহী হালদার