বাল্যবিবাহ ও শিশুদের যৌন নিগ্রহ, যা দু’টি সামাজিক ব্যধি ও অপরাধও বটে। ২০২৪ সালে পৌঁছেও এখনও বাংলার বিভিন্ন গ্রামের পাশাপাশি সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের অলিতে গলিতে কান পাতলে এই নারী পাচার, বাল্যবিবাহের ঘটনা দেখতে পাওয়া যাবে। সীমান্ত ও সুন্দরবন এলাকায় এক দিকে যেমন স্বাক্ষরতার হার অনেকাংশে কম থাকে, তেমনি সচেতনতারও অভাব। চাইল্ড লাইন, প্রশাসন ও বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে এই ধরনের ব্যধির পরিমাণ কিছুটা কম হলেও এখনও নির্মূল হয়নি।
advertisement
মূলত বিবাহ, পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ, অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে নারী পাচারের ঘটনা বেশি ঘটে। আবার বেশিরভাগ মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ বাল্যবিবাহ। এই সমস্ত সামাজিক ব্যাধি দূরীকরণে এবার এগিয়ে এল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আশা।
এ দিন বসিরহাটের টাকি সাংস্কৃতিক মঞ্চে ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার এডওয়ার্ড ফিলিপিং-এর উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা কিশোরীদের ভাল স্পর্শ এবং খারাপ স্পর্শের মধ্যে পার্থক্য হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেন। পাশাপাশি কিশোরীদের কী ভাবে যৌন নিগ্রহ থেকে বাঁচবে তাও বোঝানো হয়।
আরও পড়ুন-খাসির মাংসের কোন অংশ সবচেয়ে সুস্বাদু? কেনার সময় খেয়াল রাখুন এইগুলো
আবার বাল্যবিয়ের ফলে দীর্ঘমেয়াদী নানা সমস্যাও হয়ে থাকে। নারী শিক্ষার হার হ্রাস, স্কুল থেকে ঝরে পড়ার হার বৃদ্ধি, নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার ক্ষমতা ও সুযোগ কমে যাওয়া-সহ নানা রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে।
একইভাবে বাল্যবিবাহের ফলে অল্প বয়সে গর্ভবতী হওয়ার ফলে অপুষ্টির কারণে অনেক সময় নবজাতক মারাও যায়। সীমান্ত এলাকায় এমন উদ্যোগের ফলে কিশোরীদের সামাজিক সচেতনতা কিছুটা হলেও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন অনেকে।
জুলফিকার মোল্যা