ছোটখাটো গ্রামীণ বিবাদ থেকে খুন-ধর্ষণ। বীরভূমের আদিবাসী সমাজে আজও সালিশি সভার দাপট। পুলিশের কাছে না গিয়ে মীমাংসার জন্য সালিশি সভার দ্বারস্থ হন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দু'পক্ষ সালিশির নিদান মেনে নেন। আর সেই নিদান কখনও মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছাপিয়ে যায়।
সালিশি সভার নিদান
-- ২০১৪ সালে লাভপুরের সুবলপুরে সালিশি সভায় আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণের নিদান
advertisement
-- ২০১০ সালে রামপুরহাটের বটতলায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর নির্দেশ
-- কখনও মহিলার চুল কেটে দেওয়া
--- কখনও আবার পরিবারকে একঘরে করে দেওয়া
--- বিপুল টাকার আর্থিক জরিমানারও নিদান দেন মোড়লরা
সালিশি সভা আইনের মাধ্যমে হয় না। কার্যত স্বীকার করেন এক মোড়ল। সভাতে কখনও আবার রাজনৈতিক প্রভাবও খাটানো হয়। অভিযোগ আদিবাসী নেতার।
সালিশি সভা বন্ধ করতে উদ্যোগ নিল বীরভূম জেলা প্রশাসন। আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা মহম্মদবাজারে আদিবাসী নেতা, মোড়লদের নিয়ে সচেতনতা শিবির করা হয়েছে। ছিলেন বীরভূম জেলা আদালতের আইনজীবী, পুলিশ সুপার-সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের নেতা এবং প্রায় ৩০০ মোড়ল এই শিবিরে যোগ দেন।
সচেতনতা শিবিরে কি চোখ খুলল মোড়লদের? আইনের পথে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেও, অনেক মোড়লই সালিশি সভা তুলে দেওয়ার পক্ষপাতী নন। পুলিশ-প্রশাসন অবশ্য হাল ছাড়তে নারাজ। আগামী দিনে আরও এ ধরনের শিবির করার কথা ভাবছেন।