মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর-সহ উপস্থিত ছিলেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। লালগোলার ময়া ও পদ্মাপাড়ে বাংলাদেশের সুলতানগঞ্জে তৈরি হয়েছে এই বন্দর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ৫৯ বছর আগে এই নৌপথে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর পণ্য আদান প্রদান হত সড়ক ও রেলপথে। এতে উভর দেশের পরিবহন খরচ অনেকটাই বেশি হত। এই নৌবন্দর তৈরি হওয়ায় আমদানি রফতানিতে দুই দেশের সময় ও খরচ দু’টোই কমবে এবং আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে বলে আশাবাদী সকলেই। আর এই নৌবন্দরকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থানের আশায় নতুন করে বুক বাঁধছে স্থানীয় যুবক থেকে গোটা জেলার মানুষেরা।
advertisement
আরও পড়ুন: গুনে গুনে ৮ দিন, আর চিন্তা নেই! টাকার পাহাড়ে চড়বেন, জীবন মুড়বে সোনায়, ঘর থেকে কালো ছায়া সরবে!
এলাকাবাসী প্রভাত প্রামাণিক বলেন, ”আমাদের এলাকায় বন্দর তৈরি হওয়ায় আমরা খুব খুশি। এখানে কর্মসংস্থান হবে। এলাকার বেকার ছেলে মেয়েরা কাজ পাবে। গোটা এলাকার উন্নয়ন হবে।”
বাংলাদেশের প্রতিনিধি সামসুল আরিফ বলেন, ”এই নৌবন্দর চালু হওয়ায় দুই দেশের আমদানি রফতানির খরচ ও সময় অনেকটাই কমবে। দুই দেশের সুবিধার্থে অন্যান্য নৌপথের পরিকল্পনাও চলছে।”
কেন্দ্রীয় বন্দর জাহাজ ও জলপথ মন্ত্রক প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ”ভারত বাংলাদেশের নৌপথের প্রত্যেকটা ট্রায়ালে আমরা সফল হয়েছি। ভারত বাংলাদেশের যোগাযোগ স্থাপনে লালগোলার এই নৌবন্দর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে খরচ ও সময় দুই কমবে। এবার হলদিয়া থেকে বারাণসী পর্যন্ত নৌপথের পরিকল্পনা চলছে। পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দিক থেকে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়েছে উদ্বোধন হল লালগোলার ময়া আন্তর্জাতিক ভারত বাংলাদেশ নৌবন্দর।”