১০ তারিখের দিল্লি বিস্ফোরণের পর বাঁকুড়া রেলস্টেশনে হল আবারও এক ‘এরিয়া ডোমিনেশন’। নাশকতা রুখতে এমন চেকিং হতেই থাকবে বলে জানিয়েছেন আরপিএফ ওফিসার ইন চার্জ তপন কুমার রায়। আরপিএফ-এর এই তৎপরতায় মনে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস পেলেন বাঁকুড়া স্টেশনের যাত্রীরা। আরপিএফ আধিকারিক তপন কুমার রায় জানান, সাম্প্রতিক দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার পরে বহু যাত্রী আতঙ্কিত। তাই যাত্রীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোই তাঁদের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং কোনও নাশকতামূলক কাজ যাতে না ঘটে তা প্রতিরোধ করা। সবাই যদি সতর্ক থাকি, তাহলে নাশকতা এড়ানো সম্ভব।”
advertisement
আরও পড়ুন: কমছে মেটাল-ফাইবারের ট্রফি, মেমেন্টোর চাহিদা! অঢেল সুবিধার কারণেই অন্যদের পিছনে ফেলে দিচ্ছে কাঁচ
তিনি আরও জানান, আরপিএফ, জিআরপি এবং পুলিশ একসঙ্গে কাজ করছে। স্টেশনের বিভিন্ন স্টাফদের সঙ্গেও কথা বলে জরুরি ফোন নম্বর শেয়ার করা হয়েছে, যাতে সন্দেহজনক কিছু দেখলে সঙ্গে সঙ্গে আরপিএফ কর্মীদের জানানো যায়। পার্কিং জোন ও ট্রেনে বাড়তি নজরদারি রাখা হচ্ছে এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য সোর্স বিল্ড-আপও চলছে। বাঁকুড়া স্টেশন অন্যতম ব্যস্ত একটি জায়গা। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। প্ল্যাটফর্ম জুড়ে মানুষের ভিড়। একটার পর একটা ট্রেন আসছে এবং যাচ্ছে। কিন্তু তারই মধ্যে চোখ কান খোলা রেখেছে আরপিএফ। একটু ভুল হলেই ঘটে যেতে পারে মারাত্মক ঘটনা, সেই কারণেই ২৪ ঘন্টা সাত দিন তৎপর তারা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এমন কর্মসূচি ভবিষ্যতেও চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন আরপিএফ অফিসার ইনচার্জ তপন কুমার রায়। নাশকতার রুখতে গেলে এবং একটি সুরক্ষিত সমাজ গড়তে গেলে, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হয়। বাঁকুড়া স্টেশনে আরপিএফ, এবং রেল কর্মচারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে করছেন কাজ। এছাড়াও যাত্রীদেরকেও হতে হবে তৎপর। কোনওরকম সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে কিংবা সন্দেহজনক কিছু ঘটলে অবশ্যই জানাতে হবে আরপিএফকে।





