ইতিমধ্যে পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে টেন্ডার করা হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮৬৩ সালে একটি বেসরকারি কোম্পানি নলহাটি-আজিমগঞ্জ শাখা লাইন চালু করে। ৪৫ কিমি ট্র্যাকটি আগে ন্যারোগেজ ছিল। পরবর্তীকালে ব্রডগেজে রূপান্তরিত হয়। ১৮৯২ সালে এটি ইস্ট ইন্ডিয়ান রেলওয়ে – কোম্পানির অংশ হয়ে ওঠে।
advertisement
২০১৮ সালে নলহাটি থেকে আজিমগঞ্জ – পর্যন্ত লাইন ডাবলিং ও বিদ্যুতায়ন হয়। দিনের অধিকাংশ সময় এই লাইনে মালগাড়ি চলে।বিশেষ করে সাগরদিঘি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লাবোঝাই মালগাড়ি যায়।যাত্রীবাহী ট্রেন হাতেগোনা। এক্সপ্রেস ট্রেন শুধু হাওড়া-আজিমগঞ্জ কবিগুরু গণদেবতা এক্সপ্রেস। রেল যোগাযোগ উন্নতি ঘটবে।সেক্ষেত্রে মুরারই ও রাজগ্রামে স্টপেজ দিতে হবে। মুরারই নিত্য রেলযাত্রী সঙ্ঘের তরফে জগন্নাথ সেবাদত্ত বলেন, চাতরা, মুরারই, পাকুড়ের সঙ্গে সরাসরি আজিমগঞ্জের যোগাযোগ ছিল না। এই লাইন হওয়ার ফলে সুবিধা হবে। সেই সঙ্গে গতিময়তার যুগে সময় সাশ্রয় হবে। সাহেবগঞ্জ-বর্ধমান লুপ লাইন থেকে এই রুটে শিয়ালদহ যাওয়ার ক্ষেত্রে এক ঘণ্টা কম সময় লাগবে।
এবার হাওড়া ডিভিশনের নলহাটি-পাকুড় শাখার সঙ্গে নলহাটি- আজিমগঞ্জ শাখার বাইপাস লাইন সংযোগ হতে চলেছে। আজিমগঞ্জ রুটে নলহাটির পরেই তকিপুর স্টেশন। সেই স্টেশন থেকেই নতুন একটি লাইন বেরিয়ে নলহাটি বাইপাস হয়ে যাবে। যেটি যুক্ত হবে নলহাটি- পাকুড় শাখার চাতরা স্টেশনের মাঝামাঝি এলাকায়। তার জন্য তকিপুর স্টেশনে ইলেক্ট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের কাজ হবে। এর ফলে নলহাটি-আজিমগঞ্জ লাইন সরাসরি নলহাটি-পাকুড় লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাবে।রেল সূত্রে খবর, এতে নলহাটিকে বাইপাস করে তকিপুর হয়ে চাতরা, মুরারই, রাজগ্রাম, পাকুড়, বারহারোয়া, সাহেবগঞ্জ পর্যন্ত ট্রেন চালাতে পারবে রেল।
আরও পড়ুন: চাল-ডালে পোকা ধরেছে? কৌটোয় রাখুন এই ‘একটা’ জিনিস! পোকার বংশ থাকবে না
পাকুড় থেকে পাথরবোঝাই মালগাড়িগুলি নলহাটিকে বাইপাস করে তকিপুর, লোহাপুর হয়ে নসিপুর ব্রিজ দিয়ে যেতে পারবে।এই লাইনের ফলে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবেন মুরারই বিধানসভার মানুষ।যাঁরা দীর্ঘদিন থেকেই রেল পরিষেবায় উপেক্ষিত।তেমনই সাহেবগঞ্জ থেকে কোনও ট্রেন দিলে নলহাটি বাইপাস হয়ে ভায়া নসিপুর ব্রিজ থেকে বহরমপুর, কৃষ্ণনগর হয়ে শিয়ালদহ যাওয়ার সুবিধা হবে।দুটি রুট খুলে যাবে।
সৌভিক রায়