বন দফতরের দাবি, গার্ডরেলের পরিবর্তে ওভারপাস, স্পিড কন্ট্রোল জোন এবং সফট প্যাডিং ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল, যাতে ট্রেনের গতিও নিয়ন্ত্রিত হয় এবং হাতিরা নিরাপদে চলাচল করতে পারে। কিন্তু হাতির গতিপথ নিয়ে দক্ষিণ পূর্ব রেলের কোনও মাথাব্যথা নেই। রেল দফতরের যুক্তি, হাতি-ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণহানি রুখতে এই সুরক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন ছিল।
advertisement
আরও পড়ুনঃ শুধু রান্নার কাজে নয়, একাধিক রোগ নিরোধেও সাহায্য করে রসুন! ছোট্ট এই সবজির গুণাবলী চমকে দিতে পারে
পরিবেশবিদ এবং স্থানীয়দের একাংশ হাতির স্বাভাবিক চলাচলে বাধার বিরোধী। তাঁদের দাবি, বন দফতর ও রেলের সমন্বয়ের মাধ্যমে বিকল্প নকশা তৈরি করা হোক, যা একদিকে বন্যপ্রাণীর নিরাপদ চলাচলকে সুরক্ষিত রাখবে এবং ট্রেন ও হাতি সংঘাতে হাতি মৃত্যুর ঘটনাও রোধ করা যাবে।
অন্যদিকে হাতি সুরক্ষার নামে রেল যেভাবে গার্ডরেল দিয়ে জমি ঘিরছে, তাতে এই এলাকার অনেক মানুষের রোজগারের চাষের জমি দখল হচ্ছে। অনেক মানুষ বহু বছর ধরে রেলের এই জমিতে চাষ করে আসছেন। কিন্তু রেলের তরফ থেকে যেভাবে ব্যারিকেড দেওয়া হচ্ছে তাতে তাঁরা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। হাতি সুরক্ষার নাম করে যেমন হাতির গতিপথ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, ঠিক তেমনই অধিকাংশ মানুষের চাষের জমি ঘিরে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
