নদিয়ার শহীদ প্রেমানন্দ চন্দ্র কার্গিল যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সৈনিক ছিলেন এবং ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধের সময় তিনি দেশের জন্য আত্মত্যাগ করেন। প্রেমানন্দ চন্দ্র, নদিয়া জেলার নাকাশিপাড়া একজন গর্বিত সন্তান ছিলেন, যিনি কার্গিল যুদ্ধের সময় দেশের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। কার্গিল যুদ্ধ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৯৯ সালের মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত লাদাখের কার্গিল জেলায় সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধটিকে ভারতীয় সামরিক অভিযান “অপারেশন বিজয়” নামে পরিচিত ছিল। প্রেমানন্দ চন্দ্রের আত্মত্যাগ নদিয়া জেলার মানুষের কাছে আজও শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। বিশেষ করে কার্গিল বিজয় দিবস বা অন্যান্য শহিদ দিবসগুলিতে তার নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। তার এই আত্মত্যাগ দেশের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাল ছাড়েননি দুই শিক্ষিকা, একমাত্র পড়ুয়াকে নিয়েই চলছে স্কুল
তবে গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন এই বিষয়ে যদি আমরা আগে জানতাম তাহলে তাদের আসার আগে আমরা কিছুটা হলেও প্রস্তুত হয়ে থাকতাম তাদেরকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য। এদিন সেনা আধিকারিকেরা এসে সেই শহিদ জওয়ানের পরিবারের হাতে তুলে দিলেন শংসাপত্র ও সংবর্ধনা। এছাড়াও আক্ষেপের সুরে অনেকেই জানাচ্ছেন তাদের গ্রামের অনেকেই জানেন না যে তাদের গ্রামেই রয়েছে কার্গিল যুদ্ধের শহীদ প্রেমানন্দ চন্দ্র। তবে অনাড়ম্বর হলেও আন্তরিকতায় পরিপূর্ণ এই অনুষ্ঠান। স্বাভাবিকভাবেই, এই বীর সেনা জওয়ানকে নিয়ে গর্বিত গোটা গ্রামবাসী।