কলকাতার বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামার দৃশ্য নাগালের মধ্যে থাকবে পর্যটকদের। টেলিস্কোপের সাহায্যে বিমান ওঠানামার দৃশ্য এখান থেকে স্পষ্ট চাক্ষুষ করতে পারবেন মানুষ। টাওয়ার থেকে স্পষ্ট হুগলি নদীর সৌন্দর্য। চারটি ডেকের মধ্যে দেড়শ আসন বিশিষ্ট ঘূর্ণীয়মান রেস্টুরেন্টে। যেখানে বসে খাবার খাওয়ার সঙ্গে সম্পূর্ণ শহর দেখার সুযোগ। একই সঙ্গে ব্যাঙ্কোয়েট থাকছে এই টাওয়ারে। টাওয়ারের টপ ডেকে খোলা আকাশের নিচে প্রায় দু’শো জন মানুষ দাঁড়াতে পারবেন। তার নিচে দেড়শো আসন বিশিষ্ট রেস্টুরেন্ট অন্য আরও তিনটি ডেক মিলিয়ে মোট ৪০০ জন মানুষ একসঙ্গে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে এই টাওয়ারে।
advertisement
আরও পড়ুনSamay Raina: সময় রায়নার কড়া নিন্দা, তরুণ ইউটিউবারদের তীব্র ভর্ৎসনা করে যা জানাল সুপ্রিম কোর্ট….
আর মাত্র কয়েক মাসের অপেক্ষা। কয়েক বছর আগে টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়। এটি হাওড়া পুরসভার অন্তর্গত স্থান। যার আয়তন প্রায় কুড়ি একর, বিলিলিয়াস পার্ক। একসময় এটি আবর্জনা স্তুপ ছিল। পরবর্তী সময়ে এটি পার্কের রূপ নেয়। বিলিলিয়াস পার্ক অল্প দিনে জেলার মানুষ দারুণ পছন্দের হয়ে ওঠে। এবার হাওড়ার বেলিলিয়াস পার্ক দেশ ও বিদেশের মানুষের কাছে আরও আকর্ষণের হতে চলেছে। নির্মীয়মান এই ওয়াচ টাওয়ার শহীদমিনারের থেকে ৭০ মিটার বেশি উচ্চতা।
দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার শহীদ মিনারের থেকে প্রায় ৪৮ মিটার উচ্চতা বেশি এই টাওয়ার। হাওড়ার বিলেরিয়াস পার্কে নির্মীয়মান টাওয়ারের উচ্চতা ১২০ মিটার। যেখান থেকে হাওড়া কলকাতা দুই শহরকে পাখির চোখে গোটা শহর দেখতে পাবে মানুষ। বিলাসবহুল থেকে অ্যাডভেঞ্চার সমস্ত দিক গুরুত্ব দিয়ে সাজানো হচ্ছে এই টাওয়ারকে। বিশাল উচ্চতার এই টাওয়ার উঠানামার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির দুটি লিফট থাকছে। যার মাধ্যমে মাত্র প্রায় ৪০ সেকেন্ডে ১২০ মিটার উচ্চতার এই টাওয়ারে ওঠা সম্ভব হবে।
হাওড়া স্টেশন থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ইষ্ট-ওয়েস্ট বাইপাস রোড লাগোয়া অবস্থিত।এ প্রসঙ্গে উদ্যোক্তা রতন চৌধুরী জানান, পার্কে নির্মাণ হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার টাওয়ার। ভিন রাজ্য এবং বিদেশ থেকে আসা মানুষও আকৃষ্ট হবেন এই টাওয়ারে। দেশ বিদেশের পর্যটক এবং সাধারন মানুষের কথা ভেবে এই টাওয়ারে চড়ার টিকিট মূল্য নির্ধারণ করার কথা জানিয়েছেন।
রাকেশ মাইতি