#মহম্মদবাজার: শহিদ রাজেশের কফিনে আত্মীয়দের পাশাপাশি কাঁধ দিলেন অনেকেই। সেই তালিকায় বীরভূম জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার শ্যাম সিং। কাঁধ দিয়েছেন বীরভূম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল, জেলার ডি এস পি ( ডি এন্ড টি) অভিষেক মন্ডল সহ বীরভূম জেলা পুলিসের বিভিন্ন থানার ওসি, আইসিরা। সেনাবাহিনীর ফুল দিয়ে সাজানো গাড়িতে রাজেশের কফিন বন্দি দেহ বীরভূমের মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামে পৌছাতেই শুরু হয়েছিল এক আলাদা তৎপরতা।
advertisement
অতিথিদের শ্রদ্ধা জানানোর পরে রাজেশের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। তখনই অনেকে লক্ষ্য করেন, রাজেশের দেহ দেখে বীরভূম জেলা পুলিশের পুলিশ সুপারের চোখে জল। ওই গ্রামের মুখাগ্নি তলাতেই আয়োজন করা হয়েছিল বীরভূম জেলা পুলিশের গার্ড অফ অনার দেওয়ার জায়গা। বাড়ি থেকে ওই জায়গা পর্যন্ত পুলিশ সুপার শ্যাম সিং, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাঁধে চেপেই এল রাজেশের কফিনবন্দি দেহ। ওই সময় পুলিশ সুপারের মনে হয়েছিল, রাজেশ যেন তাঁর নিজেরই কোনও আত্মীয়। কেমন যেন একটা আলাদা অনুভূতি জেগেছিল রাজেশের জন্য। পুলিশে চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গা ঘুরেছেন তিনি। কিন্তু রাজেশের নিথর দেহ দেখে তাঁর মনটাও কেমন যেন করে উঠেছিল। তাই রাজেশকে কাঁধে নিয়েই এগিয়ে চললেন তিনি। আর সেই কফিনের সামনে ছিল সেনাবাহিনীর প্যারেড।
রাজেশ আসার খবরে লক্ষাধিক মানুষের জমায়েত হয়েছিল মহম্মদবাজারের বেলগড়িয়া গ্রামে। মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ। কিন্তু সব পুলিশ আধিকারিকদের মনের অনুভূতিটাই ছিল আলাদা । পুলিশের ডিউটি করা নয়, তাঁদেরও মন কাঁদছিল শহিদ রাজেশের জন্য। কর্তব্যে অবিচল পুলিশ কর্মীরা রাজেশকে নিজের বন্ধু, নিজের ভাই, নিজের আত্মীয় মনে করে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। কোনও কোনও পুলিশ কর্মী রাজেশের সমাধিতে একমুঠো মাটিও দিয়ে গেলেন। মনে মনে বললেন, রাজেশ তুমি ভাল থাকো, সবার মনের মধ্যে বেঁচে থাকো।